সকাল থেকে শুরু হয়ে বৃষ্টি লেগেই থাকছে সারা দিন, থামছে না রাতেও। শোওয়ার সময় কেউ কেউ ফ্যানের গতি কমিয়ে নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার হালকা করে এসিও চালাচ্ছেন। 

সকালে ঘুম থেকে উঠতেই একের পর এক হাঁচি। ঠান্ডা তো লাগেনি! তা হলে এত হাঁচি হচ্ছে কেন? 

চোখ-কান-নাকের চিকিৎসকদের মতে, হাঁচি অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। নাকের মধ্যে অস্বস্তিকর কোনো কিছু ঢুকে থাকলে হাঁচির মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই তা বাইরে বেরিয়ে আসে। ঘুমের মধ্যে কোনো কারণে ধুলো বা ময়লার সূক্ষ্ম কণা, চাদর বা বালিশ থেকে কোনো কিছু যদি যদি নাকের মধ্যে ঢুকে যায়, স্বাভাবিক ভাবেই হাঁচি চলে আসে। আবার নির্দিষ্ট কোনো জিনিসে অ্যালার্জি থাকলেও সেখান থেকে এমন সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসার পরিভাষায় যার নাম ‘অ্যালার্জিক রাইনিটিস’। 

এ ছাড়াও আবহাওয়ার পরিবর্তন খুব বড় একটি কারণ। ঘরের মধ্যে ঠান্ডায় থেকে হঠাৎ করে বাইরে বেরিয়ে পড়লে সেই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না শরীর। আবার শীতকালে উল্টোটাও হতে পারে। যেমন গরম লেপের মধ্যে থেকে হঠাৎ করে যদি বাইরে বেরোন, সে ক্ষেত্রেও এমন সমস্যা হতে পারে। 

তাই ঘর থেকে বের হওয়ার অন্তত আধাঘণ্টা আগে এসি বন্ধ করে ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় আসার চেষ্টা করতে পারলে ভালো। শুধু ঘরেই নয়, সারা দিন অফিসে এসিতে বসে কাজ করার পর, যখন বাইরে যাবেন, তখনও এই পদ্ধতিতে শরীরকে দু’টি ভিন্ন তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করাতে হবে।

এনএফ