দেশব্যাপী ৫ থেকে ১১ বছরের প্রাথমিক স্কুলগামী শিশু এবং ১২ থেকে ১৭ বছরের স্কুল-কলেজগামীদের করোনা টিকা কার্যক্রম যেন প্রায় অনেকটা বন্ধ হয়ে আছে। বয়স্কদের টিকা কার্যক্রম চালু থাকলেও গ্রহীতা না আসায় এসব শিশু-কিশোরদের কোনো টিকা দেওয়া হচ্ছে না কেন্দ্রগুলোতে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে কোনো টিকা গ্রহীতা শিশু না আসায় তাদের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ। তবে টিকা নিতে চাইলে তাদের টিকা দেওয়া হবে বলেও জানায় অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ থেকে ১১ বছরের প্রাথমিক স্কুলগামী শিশুদের এবং ২০২১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ১২ থেকে ১৭ বছরের স্কুল-কলেজগামী কিশোরদের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এরইমধ্যে এই কার্যক্রমে শিশু-কিশোর মিলিয়ে ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার ৬৮১ জন শিশু প্রথম ডোজের মাধ্যমে টিকার আওতায় এসেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছরের ১ কোটি ৯২ লাখ ৯৮ হাজার ২৩১ জন শিশু প্রথম ডোজ এবং ১ কোটি ৫৬ লাখ ২১ হাজার ৬৭৩ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। 

এদিকে, এখন পর্যন্ত ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১ কোটি ৭৪ লাখ ১৪ হাজার ৩৩৬ জন কিশোর প্রথম ডোজ, ১ কোটি ৬২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪১ জন দ্বিতীয় ডোজসহ সবমিলিয়ে ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৭ জন কিশোর টিকা নিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দেশে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৫ কোটি ৯ লাখ ২২ হাজার ৭৪০ জন। এছাড়া দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন ১৪ কোটি ২১ লাখ ৯২ হাজার ৯৭১ জন মানুষ। প্রথম বুস্টার ডোজ (তৃতীয় ডোজ) নিয়েছেন ৬ কোটি ৮৫ লাখ ৫৬ হাজার ২৭১ জন এবং দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ (চতুর্থ ডোজ) নিয়েছেন ৫০ লাখ ৫০ হাজার ৫০৭ জন। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ থেকে ১১ বছরের প্রাথমিক স্কুলগামী শিশুদের এবং ২০২১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ১২ থেকে ১৭ বছরের স্কুল-কলেজগামী কিশোরদের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।

টিআই/জেডএস