বার্ধক্যে বধিরতার ঝুঁকি এড়াতে যেসব খাবার খাবেন
বয়স বাড়লে কানে কম শোনার সমস্যা দেখা দেয়। বার্ধক্যে বধিরতা একটা গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এর নেপথ্যে থাকতে পারে অপুষ্টি এবং পর্যাপ্ত খাবারের অভাব। কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে, যেগুলো সঠিক পরিমাণে শরীরে প্রবেশ না করলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তাই বয়সকালে বধিরতার আশঙ্কা এড়াতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কোন খাবারগুলো রাখতে পারেন?
শ্রবণশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। বয়সজনিত শ্রবণশক্তি যাতে দুর্বল না হয়ে যায়, তার জন্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অত্যন্ত কার্যকর। সামুদ্রিক মাছ, আখরোট, চিয়া বীজ, তিসি বীজ, ডিম এবং মাছের তেলে এই উপাদান থাকে।
বিজ্ঞাপন
শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি হলে বয়সজনিত বধিরতার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কাঁচা মুগ, ছোলা, কাবলি ছোলার মতো খাবার থেকে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক পাওয়া যায়। জিঙ্কের ঘাটতি কমাতে খেতে পারেন দুধ, ডিম, দই।
চকোলেটে ভরপুর পরিমাণে জিঙ্ক রয়েছে। কানের সংক্রমণ দূর করা থেকে বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমানো— সব কিছুতেই ডার্ক চকোলেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তা ছাড়া, এই চকোলেটে থাকা ম্যাগনেশিয়াম কানের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।
বিজ্ঞাপন
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, ডি, ই, কে-র মতো উপাদান। এ ছাড়া অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, খনিজ পদর্থে সমৃদ্ধ পনির, টোফু নিয়ম করে বার্ধক্যে খেলে বধিরতার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। তাই এই ধরনের খাবার যত বেশি খাবেন, বার্ধক্যে কানে কম শোনার ঝুঁকি কম থাকবে।
এনএফ