স্কুলছাত্রী / ছবি- ইউনিসেফ

#২০১৮ সালে দেশে বাল্যবিয়ের হার ছিল ৫৯ শতাংশ, যা বর্তমানে ৫০
#২০১৮ সালে কৈশোর গর্ভধারণ ছিল ৩১ শতাংশ, যা বর্তমানে ২৪
#২০১৮ সালে দেশে খর্বাকৃতি শিশু ছিল ৩১ শতাংশ, বর্তমানে যা ২৪

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোলের জামুয়া এলাকার বাসিন্দা শাহানা খাতুন। স্থানীয় একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ছেন। অথচ নবম শ্রেণিতে থাকাকালীন বিয়ে হয়ে যায় তার। শারীরিকভাবে সক্ষম না হলেও স্বামীর চাওয়ায় গর্ভবতী হন। শুরু হয় নানা শারীরিক জটিলতা। একদিকে শরীরে বাড়তি বোঝা, অন্যদিকে স্বামীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে অনেকটা ভেঙে পড়েন তিনি। অবশেষে ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই মারা যায় তার গর্ভের সন্তান। ফলে ‘অপয়া’ আখ্যা দিয়ে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। স্বামী-সংসারের চাপ সইতে না পেরে সবশেষে বাবার বাড়িতে পালিয়ে আসেন তিনি। একপর্যায়ে দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় বিবাহ বিচ্ছেদ হয় শাহানা খাতুনের। আবারো শুরু করেন পড়াশোনা। তবে, দশম শ্রেণি পার হওয়ার আগেই ফের বিয়ের চাপ আসে শাহানার ওপর।

শাহানা খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জীবনে একবার হোঁচট খেয়েছি। এত অল্প বয়সে আমার ওপর দিয়ে যা গেছে তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো না। শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটা ভেঙে পড়েছিলাম। এখনো নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা আছে। ১৫ দিন সুস্থ থাকলেও বাকি ১৫ দিন নানা অসুস্থতায় থাকতে হয়। আমার সাথে যা হয়েছে আর কোনো মেয়ের সাথে যেন তা কোনোদিন না হয়।

‘পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর আগে আর বিয়ে করার ইচ্ছে নেই। শুনেছি ফের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রস্তাব আসছে। পরিবারের আর্থিক অবস্থা এবং চলাফেরায় অনিশ্চয়তার কারণে পরিবার আবারো বিয়ে দিয়ে ভারমুক্ত হতে চাচ্ছে। আমি আরো ভালো করে পড়াশোনা করতে চাই, নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই।’

একই গ্রামের বাসিন্দা সিমা আক্তার (১৭)। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কেবল কলেজের বারান্দায় পা রেখেছেন তিনি। এসএসসি পরীক্ষা শেষ না হতেই বিভিন্ন দিক থেকে আসছে বিয়ের সম্বন্ধ। মূলত সম্পদশালী ছেলের লোভে পারিবারিকভাবে বিয়ের চাপ আসে সিমার ওপর। অবশেষে জিদের বশে সাময়িকভাবে বিয়ে ঠেকিয়ে দিলেও উদ্বেগ-আশঙ্কা পিছু ছাড়ছে না তার।

বিয়ে প্রসঙ্গে সিমা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর হঠাৎ শুনি আমার বিয়ের জন্য বাড়িতে প্রস্তাব এসেছে। ছেলের অর্থসম্পদ আর ব্যবসার কথা শুনে আমার পরিবার তখন রাজি হয়। বিষয়টি যখন আমার কানে আসে, তখন মনে হচ্ছিল যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। আমার বান্ধবিরা যে বয়সে হাসছে-খেলছে, পড়াশোনা নিয়ে সময় কাটাচ্ছে, সেখানে আমাকে বিয়ে দিলে তো সব শেষ হয়ে যাবে। একটা মেয়ে হিসেবে আমারও তো কিছু স্বপ্ন থাকে।

‘বাসায় ফিরে আমি মা-বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। উনাদের বলেছি, পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে আপনাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। তখন তারা বললেন, পড়াশোনা নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না। বিয়ের পর ওনারা তোমাকে পড়াশোনা করাবে। তখন আর সাহস করে ওনাদের কিছুই বলতে পারিনি। রাত-দিন শুধু কেঁদেছি। তখন আমার মানসিক পরিস্থিতি কেমন ছিল, তা বলে বোঝাতে পারব না।’

সিমা খাতুন বলেন, কয়েকদিন এভাবে কান্নাকাটির পর আমার বিয়ে আপাতত থামিয়েছে পরিবার। তবে, আমার ওপর বাবা-মায়ের রাগ-ক্ষোভটা এখনো রয়ে গেছে। আমি আসলে এভাবে কতটা এগোতে পারব, আমার স্বপ্নগুলো কতটা আলোর মুখ দেখবে তা বুঝতে পারছি না।

শুধু শাহানা খাতুন আর সিমা আক্তার নয়, বাল্যবিয়ে নামক অভিশাপের কারণে অসংখ্য তরুণীর জীবনে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। ২০১৯ সালের বাংলাদেশ মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভের তথ্য ব্যবহার করে তৈরি করা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে শিশু বিয়ের প্রচলন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি এবং বিশ্বের মধ্যে অষ্টম সর্বোচ্চ। এ দেশে তিন কোটি ৮০ লাখ নারীর বিয়ে হয়েছে ১৮ বছরের আগে এবং এক কোটি ৩০ লাখ নারীর বিয়ে হয়েছে ১৫ বছরের আগে।

বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে- ২০২২ (বিডিএইচএস) রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখনো বাল্যবিয়ের হার ৫০ শতাংশ। এমনকি বাল্যবিয়ের ফলে দেশে বর্তমানে অ্যাডোলোসেন প্রেগন্যান্সির হার ২৪ শতাংশ। জরিপের তথ্য মতে, বছরে দেশে যতগুলো মায়ের মৃত্যু হয়, তাদের ৪০ শতাংশের মৃত্যু হয় ১৮ বছরের আগে গর্ভধারণকালীন সমস্যায়। গবেষণা বলছে, ১০০ মাতৃমৃত্যুর মধ্যে ৪০ জনের মৃত্যু হয় কৈশোর গর্ভধারণের ফলে।

অপরিণত বয়সে গর্ভধারণে নানা শারীরিক ঝুঁকিতে নারীরা

ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক স্ত্রী, প্রসূতি ও গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ছাবিকুন নাহার ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটা মেয়ে যখন শারীরিকভাবে পূর্ণ না হয় সেসময় যদি তার বিয়ে হয়ে যায়, তাহলে স্বাভাবিকভাবে সে শারীরিক ও মানসিক চাপটা নিতে পারে না। একটা মাকে পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য তার শারীরিক গঠন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা কম বয়সী মেয়েদের হয় না। এ বয়সে একটা মেয়ের যখন বিয়ে হয়, তখন প্রেগন্যান্ট হওয়া নিয়ে তার নিজস্ব কোনো মতামতের সুযোগ থাকে না। তার স্বামীর সিদ্ধান্তের ওপর তাকে নির্ভরশীল হতে হয়। যে কারণে সে তার শারীরিক ও মানসিক স্বস্তি নির্ধারণ করতে পারে না।

‘একটা মেয়ে যখন অল্প বয়সে প্রেগন্যান্ট হবে, তখন তার বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে তাদের প্রি-টার্ম লেবার হতে পারে, কম ওজনের বাচ্চা হতে পারে, বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে, মা ও বাচ্চার রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া, বাচ্চা ও মায়ের নানা ধরনের অপুষ্টিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।’

‘একটা মেয়ের যদি প্রেগন্যান্সি নষ্ট হয়ে যায়, অনেক ক্ষেত্রে তার ইনফেকশন ছড়িয়ে যায়, অনেক ইনফেকশন ডিজিজ (পিআইডি) হয়। অনেক ক্ষেত্রে ইনফেকশনের কারণে টিউব ব্লক হয়ে যায়। পরবর্তীতে সে সন্তান জন্মদানে অক্ষম হয়ে পড়ে। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে জরায়ু নষ্টও হয়ে যেতে পারে।’

ডা. ছাবিকুন নাহার আরও বলেন, আমাদের কাছে যারা চিকিৎসা নিতে নিয়মিত আসেন, বিশেষ করে আমি যতগুলো প্রিটার্ম ডেলিভারি দেখেছি, তার ৫০ শতাংশই হয়েছে অল্প বয়সে বিয়ের কারণে। বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে যতগুলো প্রেগন্যান্সিজনিত জটিলতা পেয়েছি, সেগুলোর অধিকাংশই বাল্যবিয়ের কারণে হয়ে থাকে। কারণ, মেয়েটি নিজেই তো তখন পরিণত না। স্বাভাবিকভাবে একজন মা যখন পরিণত হবে না তখন তার থেকে অপরিণত বাচ্চা জন্ম নেওয়াটা স্বাভাবিক।

বাধাগ্রস্ত প্রসবে প্রতি বছর দেশে ৩ শতাংশ মায়ের মৃত্যু হয় : ডা. মঞ্জুর হোসেন

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমসিএইচ সার্ভিস ইউনিটের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মঞ্জুর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশে তুলনামূলক বাল্যবিয়ের হার কমলেও এখনো সেটি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে রয়ে গেছে। ২০১৮ সালে দেশে বাল্যবিয়ের হার ছিল ৫৯ শতাংশ, যা বর্তমানে চলে এসেছে ৫০ শতাংশে। ২০১৮ সালে অ্যাডোলোসেন প্রেগন্যান্সি (কৈশোর গর্ভধারণ) ছিল ৩১ শতাংশ, যা বর্তমানে আছে ২৪ শতাংশ। এ ছাড়া, স্টান্টিং (খর্বাকৃতি) ছিল ৩১ শতাংশ, সেখান থেকে আমরা ২৪ শতাংশে চলে এসেছি। টিএফআর-২ (টোটাল ফার্টিলিটি রেট) অর্জন করার কথা, সেখানে আমরা ২ দশমিক ১৫-তে চলে এসেছি।

‘মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমাতে হলে আমাদের অবশ্যই বাল্যবিয়ের হার কমাতে হবে। মাতৃমৃত্যু ২০৩০ সালের মধ্যে কখনোই ৭০-এর নিচে আসবে না, যদি না আমরা বাল্যবিয়ে এবং অ্যাডোলোসেন প্রেগন্যান্সি বন্ধ করতে না পারি। আর শিশুমৃত্যুর কথা যদি বলা হয়, অবস্টেট্রিক্স লেবার (বাধাগ্রস্ত প্রসব) কাদের হয়? ১৮ বছরের নিচে যারা গর্ভধারণ করে তাদেরই হয়। এ বাধাগ্রস্ত প্রসবে প্রতি বছর দেশে তিন শতাংশ মায়ের মৃত্যু হয়। এমনকি এর ফলে বড় একটা সংখ্যক শিশুর মৃত্যু হয়।’

ডা. মঞ্জুর হোসেন বলেন, বাল্যবিয়ে বন্ধের জন্য মূল কাজটা শুরু করা উচিত পরিবার থেকেই। বাবা-মা যদি বুঝতে পারেন, আমার মেয়েটাকে যদি বাল্যবিয়ে দিই তাহলে গর্ভধারণে মৃত্যুঝুঁকি স্বাভাবিক গর্ভধারণের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি। আমি কি বাবা হিসেবে মেয়েকে বলব, তুমি মৃত্যুর মুখে ঝুঁকে পড়ো? সুতরাং এ জায়গায় বাবা-মায়ের একটা বড় ভূমিকা আছে। এমনকি প্রতিবেশীদেরও একটা বড় ভূমিকা আছে।

বাল্যবিয়েতে রয়েছে ‘আইনের ফাঁকফোকর’

আইনের ফাঁকফোকরে বাল্যবিয়ে বাড়ছে— উল্লেখ করে ডা. মঞ্জুর হোসেন বলেন, বাল্যবিয়ের একটা সুযোগ আমাদের আইনে রয়ে গেছে। সেটি হলো, বিয়ের ক্ষেত্র ‘বিশেষ অবস্থায়’ ১৬ বছর রাখা হয়েছে। যে কারণে মানুষ কিন্তু এ বিশেষ অবস্থার সুযোগটা খুঁজবে।

বাল্যবিয়ে অভিভাবকদের আর্থিক সক্ষমতার বড় কারণ কি না— জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে ৫ শতাংশ একমত, বাকি ৯৫ শতাংশেই একমত নই। বাল্যবিয়ে মূলত দুটি বিষয়ে কাজ করে। একটি হলো সামাজিক সচেতনতা, আরেকটি হলো মেয়েদের সামাজিক নিরাপত্তা। এ ক্ষেত্রে শহরকেন্দ্রিক নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোতে একটা সমস্যা খুব বেশি দেখা যায়, তা হলো একটা রুম নিয়েই একটা পরিবার বসবাস করে। এ ক্ষেত্রে পরিবারের বড় মেয়েটাকে কোনোভাবে বিয়ে দিয়ে দিলেই তারা রক্ষা পায়— এমন একটা অবস্থা।’

সামাজিক ধ্যানধারণার পরিবর্তন প্রয়োজন : আবু জামিল ফয়সাল

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, সামাজিক ধ্যানধারণা হলো মেয়েদের দ্রুত বিয়ে দিয়ে দিতে হবে, যৌতুক দিতে হবে। তারা ফ্যামিলির একটা বোঝা। সুতরাং যদি যৌতুক না দিয়েই অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে অভিভাবকরা অনেকটাই চিন্তামুক্ত হয়ে যান। এ ছাড়া, আমাদের সমাজে এখনো মেয়েরা নিরাপদ নয়।

‘অনেক সময় তাদের ওপর হামলা, নির্যাতন, উঠিয়ে নিয়ে চলে যাওয়াসহ ইভটিজিং হয়। অর্থাৎ মেয়েরা সবসময় একটা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। যে কারণে বাবা-মায়ের ধারণা এসব নিরাপত্তাহীনতা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো দ্রুত বিয়ে দেওয়া।’

তিনি আরও বলেন, বাল্যবিয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষা একটা বড় অন্তরায়। যেহেতু গ্রামীণ এলাকাগুলোতে মেয়েরা ঠিক মতো পড়াশোনার সুযোগ পায় না, সেহেতু তারা ঠিক মতো প্রতিবাদও করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাটা যদি সার্বজনীন করে আরো জোরদার করা যায় তাহলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।

বাল্যবিয়ে রোধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়

এ প্রসঙ্গে ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, বাল্যবিয়ে রোধ করা নির্দিষ্ট কোনো মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। যদি মনে করা হয় এটা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাজ, তাহলে এটা ভুল ধারণা। এখানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা থাকার কথা, এখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটা বড় অবদান থাকার কথা, একই সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরও এখানে কাজ করার সুযোগ আছে।

‘বাল্যবিয়ের সমস্যাটা যেহেতু দিনদিন বড় হচ্ছে, আমরা কোনোভাবেই এটাকে কমাতে পারছি না। তাই আমার মনে হয় এখানে বহু-মন্ত্রণালয়ভিত্তিক একটা স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান এবং সেই আলোকে অ্যাকশন প্রয়োজন। এটার রিপোর্টিং হওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যদি মনিটরিং করতে না পারেন, তাহলে ক্যাবিনেট ডিভিশন তদারকি করতে পারে। অর্থাৎ এখন যদি আমাদের বাল্যবিয়ের লাগাম টানতে হয় তা হলে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ এবং তার আওতাধীন কিছু একটা করতে হবে।

মা যদি ভালো থাকে, তাহলে গর্ভের সন্তান ভালো থাকে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর অন্যতম একটা বড় কারণ বাল্যবিয়ে। শিশুদের ভালো রাখতে হলে বাল্যবিয়ে কমাতে হবে। এখনো এটা ৫০ শতাংশের ঘরে আছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, গর্ভবতী মা যদি ভালো থাকে, তাহলে তার গর্ভের সন্তানও ভালো থাকে।

‘বাল্যবিয়ে রোধ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার কোনো কাজ নয়, একার পক্ষে এটা সম্ভবও নয়। কেউ যদি জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে, তাকে আমরা সেবা দিতে পারি। এর বাইরে বেশি কিছু করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।’

টিআই/এমজে