বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাকালীন কর্মী, সবার জন্য স্বাস্থ্য আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ডা. মোরশেদ চৌধুরী ২০১৬ সালের ১৪ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। তিনি সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গরীব-অসহায়দের মাঝে আজীবন বেঁচে থাকবেন বলে মনে করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডা. মোরশেদ চৌধুরীর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ডা. মোরশেদ চৌধুরী যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করার পর গ্রামের অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবাদানে অসাধারণ কাজ করেন। এই চিকিৎসা সেবার মধ্যে দিয়েই তিনি গরীব-অসহায়দের মাঝে বেঁচে থাকবেন আজীবন। বর্তমান চিকিৎসকরা তার কার্যক্রম থেকে শিক্ষা নিলে বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা বিশ্বে ইতিহাস তৈরি করবে।

তিনি বলেন, এই বীর সেনানী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা ও প্রবল মমত্ববোধ থেকে। যুদ্ধপরবর্তী বিধ্বস্ত বাংলাদেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ‘গ্রামে চল, গ্রাম গড়’ মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি গ্রামের মানুষের চিকিৎসা সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। সংগ্রামী এই মানুষটি কর্তব্যে ছিলেন অত্যন্ত কঠোর। কিন্তু সাধারণ মানুষ ও অধীনস্থদের প্রতি তার হৃদয় ছিল কোমল।

ডা. মাহবুব জুবায়ের সোহাগের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মনজুর কাদির আহমেদ, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ডা. লায়লা পারভীন বানু, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মর্তুজা আলী ও তার স্ত্রী নাসরিন চৌধুরীসহ মরহুমের দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সর্বস্তরের কর্মীরা। এছাড়া অনলাইনে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। অনলাইনে আরও সংযুক্ত ছিলেন ডা. তারিকুল ইসলাম, ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার, সমাজসেবী নারী নেত্রী শিরীন হক প্রমুখ।

ডা. মোরশেদ চৌধুরী গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের একজন পরিচালক ও গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

টিআই/ওএফ