যে যেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন, সেখানেই থাকুন
ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার নাসির উদ্দিন/ ছবি- ঢাকা পোস্ট
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় সোমবার (১৯ এপ্রিল) থেকে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে। এর মধ্যেই আইসিইউ ও সাধারণ শয্যা পাওয়ার আশায় অন্যান্য হাসপাতাল থেকে রোগী এসে ভিড় করছে। এ অবস্থায় হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার নাসির উদ্দিন অন্যান্য হাসপাতাল থেকে রোগীদের না আসার অনুরোধ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : বৃহত্তর করোনা হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। নাসির উদ্দিন বলেন, যে যেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন, তিনি সেখানে থেকেই চিকিৎসা নিন। তারা যেন এখানে না আসেন। এলে নতুন যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের সংকট দেখা দেবে। আপনারা যেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন সেখানেই নিন। তবে নতুন আক্রান্তরা সেবা পাবেন।
তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টায় সকাল ৮টা থেকে আজ ৮টা পর্যন্ত ১৯২ জন রোগী রিপোর্ট করেছেন। ৮৩ জন রোগীকে আমরা ভর্তি করেছি। ৩৪ জন রোগীকে আমরা আইসিইউতে নিয়েছি। তারমধ্যে ৪ জন মারা গেছেন। এই মুহূর্তে ভর্তি আছে ৭৮ জন। এখন পর্যন্ত ৮০টি আইসিইউ প্রস্তুত আছে।
বিজ্ঞাপন
দশ মিনিটেই করোনা হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের দীর্ঘ সারি
হাসপাতালটিতে সরেজমিনে দশ মিনিট অবস্থান নিয়ে দেখা গেছে, এই সময়ে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স এসে দীর্ঘ লাইন লেগে গেছে। এসব অ্যাম্বুলেন্সে আসা অধিকাংশ রোগীরই জটিল পরিস্থিতি।
এ প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার নাসির উদ্দিন বলেন, রোগীদের অধিকাংশই সিবিআর সাসপেক্টিভ প্রব্লেম নিয়ে আসছেন। তারা অল্প সময়েই বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। অবস্থা জটিল আকার ধারণ করছে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি শুরু হয়। সে সময় হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, শুরুতে ২৫০ শয্যা দিয়েই হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা এটাকে পাঁচ শতাধিক শয্যায় পরিণত করব এবং এই মাসের মধ্যেই আশা করা যায় এক হাজার শয্যাই আমরা চালু করে দেবো।
হাসপাতালটিতে যা যা আছে
হাসপাতালটিতে ২১২ শয্যার অত্যাধুনিক কোভিড আইসিইউ শয্যা রয়েছে। ২৫০ কোভিড শয্যাসহ (এইচডিইউ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ও হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা) অন্যান্য ব্যবস্থা থাকছে। এখানে ৫০ শয্যার জরুরি বিভাগ ও ছয় শয্যার ট্রায়াজ বেড রয়েছে। তাছাড়া ৫৩৮ কোভিড আইসোলেটেড কক্ষ আছে, যেগুলোতেও আছে সিলিন্ডার অক্সিজেন ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর।
হাসপাতালটিতে সর্বমোট ১০০০ শয্যায় কোভিড রোগীর জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। তাছাড়া ৫০০ কেভিএ জেনারেটর ও ১০০০ কেভিএ হাই ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। অগ্নিনির্বাপণের জন্য ৯০ হাজার লিটার ওয়াটার রিজার্ভার আছে।
টিআই/এইচকে/জেএস