দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন ছেলে। কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ছেলের জীবন বাঁচাতে নিজের কিডনি দিয়ে দিতে রাজি মা। কিন্তু সমস্যা হলো ছেলে ও মায়ের রক্তের গ্রুপ আলাদা। 

এদিকে চিকিৎসকরা বুঝতে পারছিলেন, সময় কমে আসছে। দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন না করলে হবে না। প্রতিস্থাপনের যোগ্য কিডনিও পাওয়া যাচ্ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে রক্তের গ্রুপ আলাদা হওয়ার পরও মায়ের কিডনিই ওই ছেলের দেহে প্রতিস্থাপন করলেন চিকিৎসকরা। প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ব্যবহার হলো রক্ত ছেঁকে নেওয়ার বিশেষ পদ্ধতি। 

সম্প্রতি ভারতের কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এই চিকিৎসা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আনন্দবাজার। 

আনন্দবাজার জানিয়েছে মায়ের রক্তের গ্রুপ ছিল এবি পজিটিভ আর ছেলের রক্তের গ্রুপ বি পজিটিভ।  

অন্য আর কোনো কিডনি না পাওয়ায় চিকিৎসকরা ওই পরিবারকে জানিয়েছিলেন, আলাদা রক্তের গ্রুপ হলেও প্রতিস্থাপন সম্ভব। বিপদ হতে পারে বুঝেও পরিবারটি রাজি হয়।  

ওই হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান, চিকিৎসক উপল সেনগুপ্ত জানান, সাধারণত এই ধরনের প্রতিস্থাপনের আগে রক্তের প্লাজমাফেরেসিস করা হয়। এই পদ্ধতিতে প্লাজমা বের করে অন্যের প্লাজমা দেওয়া হয়। কিন্তু এতে প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় সব অ্যান্টিবডিই শরীর থেকে বেরোতে পারে। পরে প্লাজমা দেওয়ায় অযাচিত অ্যান্টিবডি শরীরে ঢুকেও যায়। প্রতিস্থাপনে যা অন্যতম প্রতিবন্ধক হতে পারে। তাই এর বদলে গ্লাইকোসর্ব পদ্ধতি ব্যবহার হয়েছে। এ ক্ষেত্রে এক ধরনের ছাঁকনির মধ্যে দিয়ে প্লাজমা নিয়ে যাওয়ায় দ্রুত অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি ছেঁকে নেওয়া যায়। বিষয়টি নতুন। এই পদ্ধতিতে প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া দ্রুত সেরে ফেলা সম্ভব হয়েছে।

এনএফ