অন্য চিকিৎসক দিয়ে ভুল অপারেশনে শামীমা আক্তার মুন্নি নামের এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগে উত্তরার হাই-কেয়ার কার্ডিয়াক ও নিউরো হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অভিযান শেষে হাসপাতালটির কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ক্লিনিক শাখার সহকারী পরিচালক ডা. আহসানুল হকের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় আহসানুল হক জানান, নির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরিদর্শনকালে বেশকিছু ত্রুটি ও অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কাল(বৃহস্পতিবার) থেকে উত্তরার হাই-কেয়ার কার্ডিয়াক ও নিউরো হাসপাতালের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। এছাড়া একই কারণে লুবানা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টার নামে আরো একটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) উত্তরার হাই-কেয়ার হাসপাতালে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শামীমা আক্তার মুন্নি নামে এক নারী (বয়স আনুমানিক ৩০ বছর) মারা যান। স্বজনদের অভিযোগ— এক চিকিৎসকের পরিবর্তে অন্য চিকিৎসক দিয়ে ভুল অপারেশন করানোয় তার মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে, অপারেশনের পর ১২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়ার পর ওই নারীর জ্ঞান ফেরেনি। নতুন করে দেওয়া হয় আরো ২৪ ঘণ্টা সময়। তার আগেই সকাল ১১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এর তিনদিন আগে পিত্তথলির পাথর অপারেশন করাতে উত্তরা হাই-কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন শামীমা।

স্বজনদের অভিযোগ, অপারেশন করার কথা ছিল মহিদুজ্জামান টনি নামে এক চিকিৎসকের। তবে কাউকে না জানিয়ে ডা. নজিমুল ইসলাম নামের অন্য চিকিৎসক দিয়ে অপারেশন করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ সময় পার হলেও অপারেশন শেষ না হওয়ায়, নানা অজুহাত দিতে থাকে কর্তৃপক্ষ। এরপর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে কি না মুন্নি, সেটি জানতে নতুন করে আবার সময় বেঁধে দেওয়া হয় আরো ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু জ্ঞান ফেরেনি।

অভিযোগ অস্বীকার করে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি— অপারেশনের পর হার্ট অ্যাটাক করেছেন শামীমা। রক্তচাপ কমে যাওয়ায় জ্ঞান ফেরেনি তার।

টিআই/এমজে