ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ইউনিট-২-এ পরিত্যক্ত প্রায় সাড়ে ৩০০ বেড-বালিশ পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। ঢামেক হাসপাতাল-২ আগে মেডিসিন বিভাগ ছিল। বর্তমানে এখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুরে ঢামেক হাসপাতাল-২ এর পাশে প্রথমে এগুলো ফাঁকা জায়গায় এনে জমা করা হয়। এরপর পরিত্যক্ত এসব বেড ও বালিশ পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হকের নির্দেশে পরিত্যক্ত এসব বেড-বালিশ পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। পরিত্যক্ত এসব বেড হাসপাতালে থাকলে যেকোনো সময় অগ্নিকাণ্ড হলে আগুন জ্বালাতে সহায়তা করতে পারে। ওই চিন্তা মাথায় নিয়ে এগুলোকে ধ্বংসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে হাসপাতালের আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।

ঢামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিট-২-এর ওয়ার্ড মাস্টার মো. রিয়াজ উদ্দিন ঢাকা পোস্টেকে বলেন, ঢামেক হাসপাতাল-২ এটি আগে মেডিসিন বিভাগ ছিল। গত বছরের ১৬ জুন মেডিসিন বিভাগ থেকে করানো ইউনিটে রূপান্তর করা হয়। এটি ১০ তলা ভবন। আগে প্রতিটি ওয়ার্ডে ১২০-১৫০টি করে বেড থাকত।

 ঢামেক হাসপাতাল-২ এ পরিত্যক্ত প্রায় সাড়ে ৩০০ বেড-বালিশ পুড়িয়ে ফেলা হয়

তিনি বলেন, এরপর করোনা বিভাগ হলে হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৬০টি করে বেড দেওয়া হয়। অতিরিক্ত বেডগুলো আর কোনো কাজে লাগছে না। দীর্ঘদিন এগুলো পড়ে থেকে সব নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া করোনা ইউনিটে থাকার কারণে এগুলোর মধ্যে রোগ জীবাণু থাকতে পারে। 

রিয়াজ উদ্দিন আরও বলেন, গতকাল (সোমবার) পরিচালক স্যার আমাকে ডেকে এগুলো ধ্বংসের নির্দেশ দেন। তাই আজ (মঙ্গলবার) সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। আর লোহার জিনিসগুলো সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। দীর্ঘদিন এগুলো হাসপাতালে পড়ে থেকে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছিল। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিত্যক্ত এই বেডগুলা ফোমের। অগ্নিকাণ্ডের সময় এগুলো আগুনকে জ্বলতে সহায়তা করে। তাই এসব বেড-বালিশ ধ্বংসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগুন লাগলে এই বেডগুলো দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে সহায়তা করে। আগুনে জ্বলতে যাতে এগুলো সহায়তা না করতে পারে সেজন্য এগুলো দ্রুত ধ্বংসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে হাসপাতালের অন্যান্য ইউনিটের পরিত্যক্ত সব কিছু ধ্বংস করা হবে। গত মাসে আইসিইউতে আগুন লাগে। এগুলো পাশে থাকলে আরও বেশি ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। এসব পরিত্যক্ত বেড-বালিশের কারণে যেন বড় ধরনের ঘটনা না ঘটে তাই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লোহা বা অন্যান্য জিনিসগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রয় করে সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।

এসএএ/ওএফ