প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের শূন্য আসনে ভর্তি সার্কুলার দাবি
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শূন্য আসন পূরণের দাবিতে দ্বিতীয় দফা ভর্তি সার্কুলার প্রকাশসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে দেশের প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলোতে ৬০০-র বেশি আসন শূন্য রয়েছে। এটি শুধু শিক্ষা খাতের জন্য নয়, দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যতের জন্যও হুমকি। অথচ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও শূন্য আসনগুলো পূরণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
উপস্থিত শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আসিফ বলেন, প্রতিটি আসনের পেছনে রাষ্ট্রের পরিকল্পনা ও জনস্বার্থ জড়িত। কিন্তু শত শত উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে চাইলেও আসন ফাঁকা থাকছে, যা অযৌক্তিক। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে তিনবার ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষেও দুই দফায় সার্কুলার প্রকাশ হয়েছিল। এবারও আমরা সেই প্রত্যাশা জানাই।
বিজ্ঞাপন
এই শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ভর্তি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়ার আগে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিজিএমই) সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছিলেন। তখন কর্তৃপক্ষ তাদের মৌখিকভাবে আশ্বাস দিয়েছিল, আসন ফাঁকা থাকলে দ্বিতীয় দফায় ভর্তি সার্কুলার দেওয়া হবে। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে পোর্টাল বন্ধ, তাই কিছু করা সম্ভব নয়।
মানববন্ধনে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীরা নিজস্ব অর্থায়নে পড়াশোনা করবেন, এখানে সরকারের ভর্তুকির প্রয়োজন নেই। তাই সরকারি ব্যয়ের বাইরে থেকেও শিক্ষার্থীরা যদি ভর্তি হতে চান, তাহলে বাধা দেওয়ার যৌক্তিকতা নেই। তাছাড়া ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল- বিদেশি আসন ফাঁকা থাকলে তা দেশি শিক্ষার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে। এর বাস্তবায়ন শিক্ষার্থীরা দেখতে চান।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ১৫ জুন শান্তিপূর্ণভাবে ডিজিএমই ভবনের সামনে মানববন্ধন করলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তারা ক্ষুব্ধ ও হতাশ। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এসময় তারা ৪ দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হচ্ছে-
১. অবিলম্বে দ্বিতীয় দফায় ভর্তি সার্কুলার প্রকাশ করা।
২. ২৫ মে-র আগের মৌখিক আশ্বাস বাস্তবায়ন করা।
৩. ‘পোর্টাল বন্ধ’ অজুহাত না দেখিয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে তা পুনরায় চালু করা।
৪. ১৫ জুনের হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
শিক্ষার্থীরা জানান, এসব দাবি মানা না পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
আরএইচটি/এমএসএ