দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে এবং রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। তিনি বলেছেন, রোগীদের প্রমাণভিত্তিক ও গুণগত মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করাই এই মুহূর্তে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের লেকচার রুমে বিশ্ব রোগী নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএমইউ-এর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। আমরা চাই, দেশের প্রতিটি হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নিরাপদ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে উদাহরণ স্থাপন করুক। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সীমিত নয়; আমাদের দেখাতে হবে কীভাবে নিরাপদ ও মানসম্মত চিকিৎসা প্রদান করা যায়।

তিনি আরও বলেন, নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নীতিমালা তৈরি করা, স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা, সংক্রমণ প্রতিরোধে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা এবং জনসচেতনতা তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া, প্রতিটি চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী যেন প্রমাণভিত্তিক ও গুণগত মানের চিকিৎসা দিতে সক্ষম হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। যথাযথ প্রটোকল অনুসরণ, প্রশিক্ষণের আয়োজন এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন গ্রহণ করাও আমাদের মূল লক্ষ্য।

ভাইস-চ্যান্সেলর আরও যোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের লক্ষ্য শুধু নিজস্ব হাসপাতাল নয়; সমগ্র দেশের স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রকে রোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলা। প্রতিটি নবজাতক ও শিশুদের নিরাপদ চিকিৎসা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকার। আগামী দিনে দেশজুড়ে নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে বিএমইউ-এর পদক্ষেপ হবে উদাহরণস্বরূপ।

অনুষ্ঠানে বিএমইউ-এর উদ্যোগে নবজাতক বিভাগসহ শিশু অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর চিকিৎসাসেবা প্রদানের কার্যক্রম এবং নিরাপদ চিকিৎসাসংক্রান্ত একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, রোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইনফেকশন প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (আইপিসি) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের বর্তমান অবস্থা, সীমাবদ্ধতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে বোঝা জরুরি। আমরা নিশ্চিত করব, প্রতিটি হাসপাতাল এই নির্দেশনা অনুসরণ করবে এবং রোগীর নিরাপত্তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, নবজাতক ও শিশুদের নিরাপদ চিকিৎসা নিশ্চিত করা একটি প্রধান অগ্রাধিকার। সুস্থ ও সুস্বাস্থ্যবান ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ এই লক্ষ্যকে সমর্থন করবে।

টিআই/এমজে