শ্বেতী বা ধবল রোগ প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে একটি সাধারণ ত্বকের দাগ হিসাবে বিদ্যমান, যার ডাক্তারি নাম ভিটিলিগো। ভিটিলিগো একটি দীর্ঘমেয়াদি ত্বকের রঙজনিত ডিসঅর্ডার। যা ছোট্ট, বড়, মাঝারি সাদা ছোপ আকৃতিতে শুরু হয়। কখনো কখনো তা শরীরের অধিকাংশ অংশ জুড়ে সাদা হয়ে যেতে পারে। যার কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে এটি এক ধরনের অটোইমিউন রোগ নামে বর্তমানে চিহ্নিত আছে, এর মেকানিজম হলো শরীরের মেলানোসাইটের কার্যকারিতা কমে যাওয়া অথবা বিনষ্ট হওয়ার কারণে এই রোগের আবির্ভাব হয়।

যদিও কারণ চিহ্নিত না তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যেমন পূর্ববর্তী প্রজন্মে কারো থাকলে এই রোগের সম্ভাবনা আছে। তাছাড়া ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের রোগ এমনকি আঘাতজনিত বা অধিক সূর্যরশ্মি সংবেদনশীলতার কারণে এ রোগ দেখা দিতে পারে। তবে পূর্বে শরীরের ভিতরে অটোইমিউন মেকানিজম থাকতে হবে।

উক্ত রোগের চিকিৎসার জন্য অন্তহীন গবেষণা চলছে। যদিও শতকরা ১০০ ভাগ কার্যকরী চিকিৎসা এখনো গবেষণাস্থলে বিদ্যমান। বর্তমান বিশ্বে বিজ্ঞানের অগ্রগতির ধারা হয়তো অদূর ভবিষ্যতে এ রোগ থেকে পরিত্রাণের উপায় পাওয়া যাবে। বর্তমানে শ্বেতী রোগের চিকিৎসা চার ভাবে করা হয়—ওষুধ, ফটোথেরাপি, লেজার ও সার্জারি।

ওষুধ: বিভিন্ন প্রকার খাবার এবং লাগানোর ওষুধ দিয়ে প্রাথমিকভাবে এ রোগ সারানো সম্ভব। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইনজেকশনও প্রয়োগ করা হয়।

ফটোথেরাপি: ফটোথেরাপি বা আলোক চিকিৎসক প্রায় ৪ দশক ধরে পৃথিবীতে বিদ্যমান এবং আমাদের দেশেও এখন বিভিন্ন সেন্টারে PUVA, NB UVB, Targeted Phototherapy ধরনের ফটোথেরাপি সফলভাবে করা হচ্ছে।

লেজার: এক্সেইমার লেজার নামক লেজার রশ্মি দিয়ে এই চিকিৎসা করা হয় যা বাংলাদেশে এখনো বিদ্যমান নয়।

বর্তমানে শ্বেতী রোগের চিকিৎসা চার ভাবে করা হয়—ওষুধ, ফটোথেরাপি, লেজার ও সার্জারি।

সার্জারি: পাঞ্চ গ্রাফট, স্কিন গ্রাফট এবং মেলানোসাইট ট্রান্সপ্লানটেশন ধরনের সার্জিক্যাল চিকিৎসা বাংলাদেশেও সফলভাবে করা হচ্ছে।

রোগীদের মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন দেখা দেয়, যেমন—

এই রোগ কি নিরাময়যোগ্য?

- এই রোগ সবসময়ই চিকিৎসাযোগ্য এবং অনেক ক্ষেত্রেই নিরাময় সম্ভব।

শ্বেতী কি ভালো হওয়ার পর আবার হতে পারে?

- রিলাপ্স বা আবার হওয়ার সম্ভাবনা আছে তবে তা ক্ষেত্র এবং রোগের ধরনের উপর নির্ভর করে।

খাবারে কোনো বিধিনিষেধ আছে কি?

- শ্বেতী রোগে খাবারের বিধিনিষেধের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

কসমেটিক বা সাবান ব্যবহারে কোনো নিষেধ আছে কি?

- সাধারণভাবে কোনো নিষেধ নেই তবে অ্যালকোহল সম্বলিত প্রসাধনী ইরিটেশনের কারণে ব্যবহার না করাই শ্রেয়।

কী কারণে এই রোগ বাড়তে পারে?

- দুশ্চিন্তা এই রোগ বাড়ার প্রধান কারণ। এছাড়াও অন্য কোনো অটোইমিউন রোগ থাকলে এই রোগ বাড়তে পারে এবং আরোগ্যের সম্ভাবনা কমে যায়। 

প্রোগনোসিস:

শ্বেতী রোগের গতিধারা রোগী এবং রোগের বয়সের উপর নির্ভর করে। যেমন প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসার ফলাফল অনেক ভালো আর শিশু অবস্থায় যদি এই রোগ হয় তাহলে এর আরোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা বয়োবৃদ্ধের চেয়ে অনেক বেশি।

যে সমস্ত কারণে শ্বেতী হয়ে থাকে:

*           বংশগত কারণে: পরিবারের বাবা-মার শ্বেতী থাকলে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সম্ভাবনা থাকে।

*           অটোইমিউন রোগ: দেহের রোগ-প্রতিরোধক ব্যবস্থা এন্টিবডি তৈরি করে যা মেলানোসাইট কোষ ধ্বংস করে ত্বকে সাদা বর্ণ সৃষ্টি করে।

*           সেগমেন্টাল: দেহে একটি নির্দিষ্ট স্নায়ু বা নার্ভ বিষাক্ত পদার্থ নিঃসরণ করে যা মেলানোসাইট কোষ নষ্ট করে। সেগমেন্টাল ভিটিলিগোতে দেহের যেকোনো এক পার্শ্বে আলাদা আলাদা সাদা গোল গোল দাগ দেখা যায়। 

শ্বেতীর চিকিৎসা ব্যবস্থা:

একটা সময় পর্যন্ত শ্বেতীর সাদা দাগ বাড়তে থাকে এরপর তা স্থায়ী হয়ে যায়।

(১)        মেডিকেল: যার শ্বেতীর দাগ বাড়ছে।

(২)        সার্জারি: যার শ্বেতীর দাগ কমপক্ষে ছয়মাস ধরে এক রকম আছে। 

মেডিকেল:

প্রাথমিকভাবে শ্বেতীর সকল নতুন নতুন সাদা দাগের জন্য মেডিকেল চিকিৎসা দেওয়া হয়। মেডিকেল চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে -

ক.         PUVA :  সাধারণত রোগী সোরালিন নামক ট্যাবলেট সেবন করার ২ ঘণ্টা পর রোদে যেতে পারে।

খ.         NB-UVB Therapy : এটি শ্বেতীর সর্বাধুনিক চিকিৎসা এবং এই পদ্ধতিতে ফটোথেরাপি মেশিনে চিকিৎসার সময় কোনো ওষুধ প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না।

গ.         মেডিসিন : স্টেরয়েড এবং ইমিউনোমোডুলেটর শ্বেতীর দাগ ছড়ানো বন্ধ করতে সাহায্য করে। মেডিকেল চিকিৎসায় রোগী সম্পূর্ণ বা আংশিক ভালো হয়। উক্ত চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ, কয়েক মাস হতে কয়েক বছর লাগতে পারে। 

সার্জারি:

যাদের শ্বেতীর দাগ অনেকদিন ধরে একইরকম আছে অর্থাৎ বাড়ে না, তাদের ক্ষেত্রে বেশি উপকারী। অন্যান্য চিকিৎসার চেয়ে তাড়াতাড়ি ভালো হয়। সাধারণত তিন ধরনের সার্জারি করা হয়ে থাকে। যেমন—

ক. স্কিন গ্রাফটিং

খ. পাঞ্চ গ্রাফটিং

গ. মেলানোসাইট ট্রান্সপ্লানটেশন 

ক.         স্কিন গ্রাফটিং:

           শ্বেতীর ছোট ছোট দাগের ক্ষেত্রে এ ধরনের সার্জারি করা হয়।

           এটি বড় দাগের ক্ষেত্রে কার্যকরী নয়।

           হাঁটুর উপরের অংশ (থাই) হতে অল্প পরিমাণ স্কিন নিয়ে উক্ত স্কিন থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বাদামি পিগমেন্ট আলাদা করা হয়। অতঃপর ঐ পিগমেন্ট শ্বেতীর সাদা দাগে লাগানো হয়। এর সুবিধা হলো অল্প পরিমাণ স্কিন দিয়ে অনেক বড় জায়গায় শ্বেতী ভালো করা যায় এবং স্কিনের রঙ শরীরের যে স্থানে পিগমেন্ট প্রতিস্থাপন করা হয় তার রঙ এর সাথে মিশে যায়।

শ্বেতী রোগের গতিধারা রোগী এবং রোগের বয়সের উপর নির্ভর করে।

সম্পূর্ণ চামড়া প্রতিস্থাপন করলে অনেক পরিমাণ স্কিন লাগে এবং রঙও মিশেনা—জায়গাটা অন্যরকম দেখায়।

           সার্জারির পর প্রস্থাপিত পিগমেন্ট যাতে নড়াচড়া করতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।

           কিন্তু এতে চামড়ার রঙ ঠিকভাবে আসে না।

খ.         পাঞ্চ গ্রাফটিং:

           পাঞ্চ নামক যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভালো ত্বক সাদা ত্বকে লাগানো হয়।

           সার্জারি পর NB-UV থেরাপি দেওয়ার প্রয়োজন হয়।

           কসমেটিক সার্জারি করার পর শ্বেতীর সাদা সাদা দাগে স্টোন এর মতো দেখা যায়।

           শ্বেতীর ছোট ছোট দাগের ক্ষেত্রে এ ধরনের সার্জারি করা হয়।

           এটি বড় দাগের ক্ষেত্রে কার্যকরী নয়। 

গ.         মেলানোসাইটি ট্রান্সপ্লানটেশন:

শ্বেতী রোগের সর্বাধুনিক সার্জিক্যাল চিকিৎসা বা সর্বপ্রথম সুইডেনের উপসালা ইউনিভার্সিটিতে চালু হয় এবং বর্তমান বিশ্বে খুব অল্পসংখ্যক ডাক্তার সফলভাবে মেলানোসাইট ট্রান্সপ্লানটেশন করে থাকেন। তবে বাংলাদেশেও স্বল্প সংখ্যক ডাক্তার এই চিকিৎসার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। 

যেভাবে মেলানোসাইট ট্রান্সপ্লানটেশন করা হয়:

হাঁটুর উপরের অংশ (থাই) হতে লোকাল অ্যানেস্থেসিয়ার মাধ্যমে অল্প পরিমাণ স্কিন (৫x২ সে.মি) নিয়ে ত্বক হতে মেলানোসাইট পৃথক করা হয়। শ্বেতীর সাদা দাগকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে বিশেষ ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে মেলানোসাইটকে হালকাভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়। ৭-৯ দিন পর ব্যান্ডেজ খুলে ফেলা হয়।

সুবিধাসমূহ:

১.         হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না।

২.         ১০০ বর্গ সে.মি জায়গায় ট্রিটমেন্ট করতে খুব অল্প পরিমাণ ত্বকের প্রয়োজন হয়।

৩.         সার্জারির ৩-৬ সপ্তাহের মধ্যে ত্বকের রঙ ফিরতে শুরু করে।

৪.         এই সার্জারির সাফল্যের হার ৮২%।

৫.         স্কিন গ্রাফটিং, পাঞ্চ গ্রাফটিং -এর তুলনায় এটি বেশি কার্যকরী।

৬.         কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভালো হওয়ার জন্য দ্বিতীয়বার সার্জারির প্রয়োজন হয়।

৭.         সার্জারি পর সূর্যের আলোতে যাওয়া বা ফটোথেরাপি দেওয়া ভালো, কেননা এতে ত্বকের মেলানিন দ্রুত আসে।

৮.         অল্প পরিমাণ ত্বকের সাহায্যে অনেক বড় শ্বেতীর সাদা দাগ সারানো যায়। 

শ্বেতী রোগ সম্পর্কিত কিছু জিজ্ঞাসা:

১. শ্বেতী রোগের চিকিৎসা করলে তা কি সম্পূর্ণ ভালো হবে?

- শ্বেতী রোগের চিকিৎসা দুভাবে করা হয়-

            ক. ফটোথেরাপি

            খ. অটোলোগাস মেলানোসাইট ট্রান্সপ্লান্টেশন

ফটোথেরাপি শুধুমাত্র সেইসব শ্বেতীর জায়গায় কাজ করে যেখানে মেলানোসাইট কোষ খুব অল্প পরিমাণে থাকে অথবা অকার্যকর অবস্থায় থাকে। ফটোথেরাপির মাধ্যমে অকার্যকর কিংবা অল্প মেলানোসাইটকে কার্যকরী করে মেলানিন প্রস্তুতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। ফটোথেরাপির মাধ্যমে শ্বেতী যদি বাড়তে থাকে তাহলে এই বৃদ্ধিকে প্রতিহত করা হয় এবং এতে প্রায় ৬০-৭০% ভালো হয়ে যায়। কিন্তু কোনো কোনো জায়গায় মেলানোসাইট সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।

Derma Color Collagen Cream, Derma Color Camouflage Cream, Derma Color Body Cover, Fixing Powder, Fixing Spray ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ডারমা কালার শ্বেতী রোগীরা ব্যবহার করে সহজেই বাইরে যেতে পারেন।

সেইসব জায়গায় ফটোথেরাপি দিলেও সুফল হয় না। ঐ স্থানে মেলানোসাইট ট্রান্সপ্লান্টেশন এর মাধ্যমে শরীরের ভালো জায়গা থেকে মেলানোসাইট নিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। অতঃপর প্রতিস্থাপিত মেলানোসাইট এর উপরে ফটোথেরাপি দিলে তা প্রায় সম্পূর্ণ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই চিকিৎসার অন্যতম শর্ত হচ্ছে আক্রান্ত  এলাকায় শ্বেতীর স্থায়িত্ব কমপক্ষে ৬ মাস বা ১ বছর পর্যন্ত একই রকম থাকতে হবে এবং শ্বেতীর জায়গা ছোট হতে হবে।

২. যেটুকু চিকিৎসায় ভালো হবে সেখানে আবার হবে কি?

- নতুন করে হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

৩. ভবিষ্যতে অন্য কোনো জায়গা থেকে আবার হবে কি?

- ট্রিটমেন্ট চলাকালীন অবস্থায় নতুন করে আর শ্বেতী দেখা দিবে না। কিন্তু ট্রিটমেন্ট যদি পুরোপুরি শেষ না হয় অথবা ট্রিটমেন্ট না নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে শরীরের অন্য জায়গায়ও হতে পারে।

৪. ঠোঁটে শ্বেতী হলে লিপস্টিক লাগানো যাবে কি না?

- ঠোঁটে শ্বেতী হল লিপস্টিক না লাগানোই ভালো। কারণ লিপস্টিক কেমিক্যাল দিয়ে সেক্ষেত্রে কেমিক্যাল থেকে পুড়ে গিয়ে শ্বেতী বেড়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে বাজারের সস্তা লিপস্টিক ব্যবহার না করে শ্বেতী রোগীর জন্য তৈরি বিভিন্ন কসমেটিক পাওয়া যায় তা ব্যবহার করা ভালো।

৫. টক খেলে ভিটিলিগো বাড়ে কি?

- এই বিষয়টি নিয়ে এখনো গবেষণা হচ্ছে। গবেষণালব্ধ বেশির ভাগ তথ্য হতে দেখা যায় যে, টক জাতীয় খাবারের সাথে এই রোগের কোনো সম্পর্ক নেই।

৬. গরুর মাংস, চিংড়ি, বেগুন, ডিম জাতীয় খাদ্য খাওয়া যাবে কি না?

- সবই খাওয়া যাবে কিন্তু যদি এলার্জি থাকে তবে বাদ দিতে হবে।

৭. শ্বেতী রোগে সাবান বা অন্যান্য প্রসাধন সামগ্রী কি ব্যবহার করা যাবে?

- সাবান ব্যবহার করা যায়। তবে মাইন্ড সোপ ব্যবহার করা ভাল। অন্যান্য প্রসাধন সামগ্রী যেমন সেন্ট, বডি স্প্রে, লোশন, ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহার না করাই ভাল। কিন্তু বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই ভিটিলিগোদের জন্য তৈরি সান-স্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

৮. শ্বেতী রোগে কোন ধরনের কসমেটিকস ব্যবহার করা যায়?

- শ্বেতী রোগে সব ধরনের কসমেটিকস ব্যবহার করা যায় না। কেননা কসমেটিকস বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল দিয়ে তৈরি হয় যা শ্বেতী জায়গায় এলার্জি বা চুলকানির উদ্রেক করে। ফলে অতিরিক্ত চুলকানিতে চামড়া উঠে যায় এবং শ্বেতী বেড়ে যেতে পারে। শ্বেতী রোগীদের জন্য বিশেষ কিছু কসমেটিক আছে যা ব্যবহারে তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। যেমন Derma Color Collagen Cream, Derma Color Camouflage Cream, Derma Color Body Cover, Fixing Powder, Fixing Spray ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ডারমা কালার শ্বেতী রোগীরা ব্যবহার করে সহজেই বাইরে যেতে পারেন।

৯. মেলানোসাইট ট্রান্সপ্লানটেশন করার পর ফটোথেরাপি নেওয়ার প্রয়োজন আছে কি এবং কয়টি সেশন প্রয়োজন?

- মেলানোসাইট ট্রান্সপ্লানটেশন করার পর ত্বকের রং স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য ফটোথেরাপি দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ২-৩টি সেশনে ৩৫০ মি. জুল দিয়ে ধীরে ধীরে তা বাড়িয়ে ৫০০-৬০০ মি. জুল পর্যন্ত দেওয়া হয়।

অধ্যাপক ডা. এম. ইউ. কবীর চৌধুরী ।। চর্ম, এলার্জি, যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ, স্কিন ও লেজার সার্জন