১৮ বছরের নিচে শিক্ষার্থীদের আপাতত করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র আঠার বছরের বেশি বয়সীরাই টিকা নিতে পারবেন।

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক।

তিনি বলেন, সবক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত টিকার বয়সসীমা ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৮ বছরের বেশি বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ছাত্রছাত্রী আছে তাদের টিকার আওতায় আনা হবে।

১৮ বছরের নিচে টিকা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে শামসুল হক বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের এটি জানা নেই। তবে এটা নিয়ে সরকার যেহেতু চিন্তা করছে, ভবিষ্যতে যদি কোনো পরিকল্পনা আসে সেটা আপনাদের জানাব। ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

তিনি আরও বলেন, এর আগে ইউজিসির মাধ্যমে তালিকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। তাদের অনেকেই তখন টিকা নিয়েছেন। তারপরও যারা বাকি রয়েছেন, সেসব শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, যাদের এনআইডি নেই তারা জন্ম নিবন্ধন কার্ডের মাধ্যমে যেন টিকা নিতে পারেন, সে লক্ষ্যে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে নতুন আরেকটি উইন্ডো খোলার চেষ্টা চলছে। সেক্ষেত্রেও প্রত্যেকের নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধীনস্থ কলেজগুলো থেকে একটি তালিকা আমাদের কাছে আসতে হবে। এরপর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সেগুলোকে সুরক্ষা সার্ভারে যুক্ত করা হবে।

সংক্রমণ প্রসঙ্গে অধিদফতরের এই মুখপাত্র বলেন, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অনেকখানি কমেছে। গতকাল ১০ শতাংশের নিচে এসে দাঁড়িয়েছে, সেটি আমাদের জন্য স্বস্তির সংবাদ। যেভাবে সংক্রমণের রাশ টেনে ধরা হয়েছে, সেটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আশা করতে পারি সেপ্টেম্বরের মধ্যে রোগীর সংখ্যা কমে আসবে। তবে এখানে আমাদের আত্মতুষ্টির কোনো অবকাশ নেই।

এর আগে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক সাংবাদিকদের বলেন, ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের মানুষ যেকোনো (করোনাভাইরাস) ভ্যাকসিন নিতে পারেন, কিন্তু যাদের বয়স ১৮ বছরের কম, তাদের সব ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি নীতিমালা আছে এবং আমরা দেখতে পেয়েছি, বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে শিশুদের ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা এই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করব।

প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য অধিদফতর গত ২০ আগস্ট থেকে ১৮ ও তার বেশি বয়সের শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দিয়েছে। বাকিদের জন্য নিবন্ধনের ন্যূনতম বয়স ২৫।

টিআই/জেডএস/জেএস