দেশে প্রতিবছর ৭ লক্ষাধিক মানুষ সর্পদংশনের শিকার হয়। এর মধ্যে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক আয়োজিত ৪র্থ আন্তর্জাতিক সর্পদংশন সচেতনতা দিবস-২০২১ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, সর্পদংশন একটি নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ (অসংক্রমিত রোগ)। প্রতি বছরেই এই রোগের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলছে। বিশ্বজুড়ে বছরে সর্পদংশনের শিকার হন ৫০ লক্ষাধিক মানুষ। তাদের মধ্যে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয় এবং তিন থেকে চার লক্ষাধিক মানুষের অঙ্গহানি ঘটে। 

মন্ত্রী বলেন, সাপের কামড়ে মৃত্যু রোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সারাদেশের প্রতিটি হাসপাতালেই এর প্রতিষেধক অ্যান্টি ভেনম রাখতে হবে। উপজেলা ও জেলা সকল পর্যায়েই এর ব্যবস্থা করতে হবে। 

মন্ত্রী বলেন, দেশে সবচেয়ে বেশি বিষধর কোবরা সাপের কামড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। দেশে বিষাক্ত আরও অনেক প্রজাতির সাপ আছে। ভাইপার, রাসেল ভাইপারও দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাওয়া যাচ্ছে। তবে কোবরা সাপের সংখ্যাই বেশি পরিমাণে রয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা জানি সাপের বাসস্থান অধিকাংশই ঝাড় জঙ্গলে। কিন্তু সেগুলো মানুষ দখল করে নিচ্ছে। তাই তারা বাসস্থান হারিয়ে লোকালয়ে চলে আসছে। এছাড়াও বর্ষা-বৃষ্টিপাতের সময়ে সাপের বাসস্থান ডুবে যাওয়ায় মানুষের বসতবাড়িতে এসে আশ্রয় নেয়। বন্যার সময়ে দেখা যায়, উঠান, খড়খোটায় ভেতরে আশ্রয় নেয়। আর সেগুলোতেই বেশিরভাগ সর্পদংশনের ঘটনা ঘটে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সর্পদংশনকে ২০১৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অবহেলিত ট্রাপিক্যাল রােগ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

টিআই/এসকেডি