বিশ্বের নানা দেশের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস দিবস (হাড়ের ক্ষয় রোগ) ২০২১ উদযাপিত হয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো, ‌‘নিজের হাড়কে ভালোবাসুন, ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করুন।’

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানিয়েছেন, হাড়ের ক্ষয় রোগ থেকে একজন মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করতে পারে। তাই পঙ্গুত্ব রোধে সচেতনতার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগ ও ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএসএমএমইউয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রিউমাটোলজি বিভাগে চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী, ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. এ কে এম সালেক, রিউমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এই রোগ শুরুতে সুপ্ত অবস্থায় থাকলেও কোনোমতে বয়স ৫০ পার হলেই জেঁকে বসবে। পরবর্তী সময়ে কেড়ে নেবে আপনার চলাফেরার স্বাধীনতা। এমনকি পঙ্গুও বানিয়ে ফেলতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা নিতে গেলে ঘুরে ফিরে ব্যায়াম করাবে, হাটাবে, পরিশ্রম করাবে।

জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী প্রতি তিনজন পঞ্চাশোর্ধ নারীর মধ্যে একজন ও প্রতি পাঁচজন পঞ্চাশোর্ধ বয়সের পুরুষের মধ্যে একজন এই রোগে ভুগে থাকেন।

তাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নিয়মিত হাটা, ব্যায়াম, কায়িক শ্রমের ওপর জোর দেন। এমনকি সেটি তরুণ বয়স থেকে শুরু করলে আরও ভালো বলেও তারা মনে করেন।

আন্তর্জাতিক অস্টিওপরোসিস ফাউন্ডেশন বলছে, আপনার যৌবনকাল আপনি যেভাবে কাটাবেন বার্ধক্য আপনাকে ঠিক একই জিনিষ ফিরিয়ে দিবে। যারা তরুণ বয়সে খুব একটা পরিশ্রমী নন। অর্থাৎ হাটেন না, ব্যায়াম করেন না, ফুড লাভার, বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খেতে পছন্দ করেন, বাকিটা সময় আড্ডাবাজি করে কাটান। এক কথায় আপনি অলস জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এই সুযোগে আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করবে এক কঠিন রোগ। যার নাম অস্টিওপরোসিস বা হাড়ের ক্ষয়।

টিআই/ওএফ