প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে এখন উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর নাম যারা মুছে দিতে চেয়েছিল, তারা এটাকে বিকৃত করার পাঁয়তারা করেছিল। আজ জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার (৩০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ব্লকে অডিটোরিয়ামে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণার চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণের জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেশের জন্য বড় সম্মানের।

অধ্যাপক শারফুদ্দিন বলেন, যাদের প্রচেষ্টায় ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে, তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা উচিত। আমি তাদের সম্মানিত করার দাবি জানাচ্ছি।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এখন আন্তর্জাতিক সম্পদ। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর এ ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ওই বছর ২৪ থেকে ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বৈঠকে ৭ মার্চের ভাষণকে ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রারে তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সংস্থাটির ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজার কমিটি (আইওসি)। ওই দিন প্যারিসে ইউনেস্কোর সদরদফতরে তৎকালীন মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভ এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেন।

এ স্বীকৃতি শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, দেশের জন্য বড় স্বীকৃতি। বঙ্গবন্ধু এ ভাষণের মাধ্যমে প্রধানত স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। মাত্র ১৯ মিনিটের সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে তুলে দেন অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায়, যোগ করেন শারফুদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমানসহ শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

টিআই/এসএসএইচ