দেশে গত ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে ডেঙ্গুতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ৬ জন। সবমিলিয়ে এই বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৫০৩ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৫৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ সময়ে নতুন করে ডেঙ্গুতে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। অধিদফতর বলছে, আক্রান্তদের অধিকাংশই রাজধানীর বাসিন্দা।

দেশে নতুন ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ১২৪ জন রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এবং ৩৫ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭৭ জনে। ঢাকার ৪৬টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫৪২ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৩৫ জন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ (১৩ নভেম্বর) পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৫ হাজার ৫০৩ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৪ হাজার ৭২৯ জন রোগী। ডেঙ্গুতে এ সময়ে ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। ওই বছর এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। মারা যান ১৪৮ জন। ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২০০২ সালে, ওই বছর ৫৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ ছাড়া ২০০১ সালে ৪৪ জন মারা যান। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও করোনা মহামারি মধ্যে ২০২০ সালে ডেঙ্গু তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে এবার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী।

টিআই/এসকেডি