দেশে এক শতাংশেরও কম রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপনের সুবিধা রয়েছে। তবে এই রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় নিরূপণ করতে পারলে চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া সম্ভব। কিন্তু দেশে পর্যাপ্ত নেফ্রলজিস্টই (কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ) নেই।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীর উত্তম মেজর হায়দার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নেফ্রলজিস্ট সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানান।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন এবং ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রলজি (আইএসএন) সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দেশে মোট জনসংখ্যার আড়াই শতাংশ মানুষ নানা ধরনের কিডনি রোগে ভুগছেন। ১৯৯০’র দশকে জনসংখ্যার এক শতাংশ কিডনি জটিলতায় ভুগতো। অন্যদিকে কিডনি অকেজো হয়ে যাওয়ার পর ডায়ালাইসিস করে বেঁচে থাকতে রোগীদের ১২ থেকে ২২ শতাংশ নিজেদের সম্পদ বিক্রি করে দিতে হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কিডনি হাসপাতাল ও কিডনি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও চিফ অব কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশীদ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নেফ্রলজিস্ট নেই। তবে যারা আছেন তাদের বেশির ভাগই রাজধানীতে। ফলে রাজধানীর বাইরের রোগীরা প্রয়োজন হলেও প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা পান না।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, কিডনি রোগ ঠেকাতে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা শুরু করতে হবে। ধারণা করা হয়, দেশে ১৫ লাখ শিশু নেফ্রলজির রোগী রয়েছে। কিন্তু তাদের চিকিৎসার জন্যও পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই।

সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিশিষ্ট শিশু নেফ্রলজিষ্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হানিফ, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন এবং অ্যাসোসিয়েশন ফিজিশিয়ান অব বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রাফিকুল আলম, সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মামুন মোস্তাফী।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সান্ট্রিফিক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান। এছাড়াও শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।

টিআই/এমএইচএস