বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসা নেওয়ায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য রোগীদের এখন আর দেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নির্মাণাধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু হলে দেশেই রোগীদের আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিআইপিসহ যেকোনো রোগীর উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদানের সম্পূর্ণ সক্ষমতা রয়েছে।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন এ প্রতিষ্ঠানটি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) এমনভাবে গড়ে তোলা হোক যাতে দেশের রোগীদের চিকিৎসার জন্য অন্য দেশে যেতে না হয়। বঙ্গবন্ধুর সেই লক্ষ্য অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারণেই স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। যে কারণে আজ আমরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বড় বড় কর্মকর্তা হতে পেরেছি। দেশ স্বাধীন না হলে আজও আমাদের পাকিস্তানের গোলামি করতে হতো।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জন্য জীবন দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারব না। তবে আমরা যদি নিজ নিজ দায়িত্ব কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।

রক্তদান প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ৬০ বছরের নিচে যেকোনো সুস্থ মানুষ বছরে ৩ বার রক্ত দিতে পারেন। এতে অনেক মানুষের জীবন বেঁচে যাবে। রক্তদানের মাধ্যমে পরকালেরও পুণ্য অর্জন করা সম্ভব। তাছাড়া রক্তদানের সময় কয়েকটি রোগ, ভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য রক্তদাতার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হয়। এর ফলে ওইসব রোগ রক্তদাতার রয়েছে কি না তাও জানা সম্ভব হয়।

ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ। তার প্রয়োজনীয় সবধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে তিনি ৯০ ভাগ সুস্থ আছেন। আশা করি, তিনি কয়েকদিনের মধ্যেই বাসা ফিরে যেতে পারবেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, নার্সিং অনুষদের  ডীন  অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিক্যাল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ।

টিআই/এসকেডি