আবারও করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এরইমধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা এসেছে রাজধানীর রোগীবহুল মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও।

তবে অন্যান্য রোগীদের সংখ্যাধিক্য বিবেচনায় এখনই কোভিড ডেডিকেটেড হচ্ছে না বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আপাতত কোভিড, নন-কোভিড দুই সেবাই চলবে বলে জানানো হয়েছে।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কোভিড আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ছে। পাশাপাশি আমাদের হাসপাতালে নন-কোভিড রোগীদের চাপও বেশ। তাই এই মুহূর্তে কোভিডের পাশাপাশি নন-কোভিডটাকেও রান করাচ্ছি। আমরা এখনি পুরোপুরি কোভিড ডেডিকেটেড করতে চাচ্ছি না। কারণ আমরা বিশাল জনগোষ্ঠীকে সেবা দিতে চাচ্ছি।

ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, কোভিড ডেডিকেটেড করার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একটি নির্দেশনা আছে, তবে সেটি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা আছে, যদি কোভিড পরিস্থিতি সেরকম তৈরি হয়ে যায়, যদি প্রচণ্ডভাবে আমাদের আঘাত করে এবং লাফিয়ে লাফিয়ে করোনার সংক্রমণ যদি বাড়তে থাকে, সেক্ষেত্রে আমরা আগের অবস্থায় ফিরে যাব। আর যদি সংক্রমণ একটি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে, তাহলে আমরা পাশাপাশি দুটোকেই চালিয়ে নেব।

পরিচালক আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি সময়ে যেহেতু এ হাসপাতাল ডেডিকেটেড কোভিড ছিল, এখন যদি সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যায়, তাহলে আমাদের আগের জায়গায় ফিরে যেতে হবে। এ জন্য আমরা প্রস্তুত থাকবো যেকোনো মুহূর্তেই অল্প সময়ে যেন কোভিডে ফিরে যেতে পারি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে এখন প্রায় ৪৫০ থেকে ৫০০ মতো রোগী এখন ভর্তি রয়েছে। 

কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতালটিতে অনেক জেনারেল রোগী ভর্তি রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে রাতারাতি কোভিড ডেডিকেটেড করে দেওয়া সম্ভব না। এক্ষেত্রে আমাদের আরও সময় লাগবে কোভিড রোগীদের জন্য সাধারণ বেড, আইসিইউ, এইচডিইউসহ অন্যান্য সবকিছু প্রস্তুত করতে।

টিআই/এসএম