নানা কারণ শীতের মৌসুমে কানে ইনফেকশনের অনেকাংশে বেড়ে যায়। যেকোনো বয়সের মানুষ এ সমস্যায় ভুগতে পারেন। মূলত এ ধরনের সমস্যায় ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের কারণে মধ্যকর্ণ ও অন্তঃকর্ণে সংক্রমণ হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় শীতে কানের ইনফেকশনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে।

করোনাকালে ওমিক্রনের প্রভাবেও এমনটি হতে পারে। এক্ষেত্রেও মধ্যকর্ণে ইনফেকশন দেখা দিচ্ছে। তারপর সেই ইনফেকশনের কারণে কানে জমছে তরল। এ তরল ইয়ার ড্রামের পেছনে জমা হচ্ছে। এ তরলকে পরিষ্কার না করলেই তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা।

শীতকালে কেন কানে ইনফেকশন হয়?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীত আরামদায়ক হলেও নানা ধরনের সমস্যার তৈরি করে এ আবহাওয়া। শীতে নানা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ কারণেই সমস্যা অনেকটা বেশি দেখা যায়। আগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুদের মধ্যে এ সমস্যা দেখা যেত। তবে এখন সবার মধ্যেই কম-বেশি এ সমস্যা দেখা যাচ্ছে। তাই সবাইকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

কানের সংক্রমণের লক্ষণ

১. কানে ব্যথা

২. মাথাব্যথা

৩. কান চুলকানো

৪. কান ফুলে যাওয়া

৫. কান থেকে তরল বের হওয়া

৬. কানে শুনতে না পাওয়া

৭. কানে ঘন ঘন তালা পড়ে যাওয়া

বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্য ব্যথার তুলনায় কানে ব্যথা অনেকটা তীব্র হয়। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে এ ব্যথা আরও বেড়ে যায়।

কানের ব্যথা সারাবেন কীভাবে?

১. কানের যেকোনো সমস্যা অবহেলা করবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিঅ্যালার্জিক ও ব্যথার ওষুধ খেতে হবে।

২. কানে ব্যথা হলে গরম সেঁক দিন। এতে ব্যথা অনেকটাই কমে।

৩. কান সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। কানের ভেতরে যেন কোনোভাবেই পানি না যায় সেই বিষয়টাও নিশ্চিত করুন।

৪. কানে যাতে ঠান্ডা না লাগে সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। এজন্য পরতে পারেন টুপি, হেড ব্যান্ড, মাফলার ইত্যাদি।

৫. কটন বাডস দিয়ে কান পরিষ্কার করতে যাবেন না ভুলেও। তাতে সমস্যা আরও বাড়বে।

৬. এমনকি কানে আঙুল দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। কারণ হাতে থাকা জীবাণু এক্ষেত্রে কানে পৌঁছাতে পারে।

৭. ধূমপানের কারণেও বাড়তে পারে কানের সমস্যা। তাই এ অভ্যাস দূর করুন।

৮. ঠান্ডা লাগলে সচেতন থাকুন। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ও নিয়মিত ওষুধ খান।

এসএসএইচ