করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা কর্মসূচি শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছে ৭ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ৩৩৫ জন মানুষ। আর প্রথম ডোজের আওতায় এসেছে ১০ কোটি ২৫ লাখ ৩ হাজার ৬২৮ জন। এছাড়াও এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৩১ লাখ ৩ হাজার ৬৪ জন। 

সবমিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট ১৮ কোটি ২৩ লাখ ৫৭ হাজার ২৭ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে ২১ লাখ ১১ হাজার ২৭৮ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬২ জনকে প্রথম ডোজ এবং ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৪৫৯ জনকে দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৯৭ হাজার ৩৫৭ জনকে।

গত ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে গত একদিনে ৭৪ হাজার ১০৫ জন শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ২১ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৪৭ লাখ ৬১ হাজার ৪১১ জন শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেলো। আর দ্বিতীয় ডোজ পেলো ৯০ লাখ ৬২ হাজার ৩৪৩ জন।

এদিকে, দেশে এই পর্যন্ত ২৮ হাজার ১৯০ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছে। তবে তাদের কেউই এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় বা বুস্টার ডোজের টিকা পায়নি।

করোনা টিকার নিবন্ধন শুরু হয় গত বছরের ২৭ জানুয়ারি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ১৮ বছর বয়সী যেকোনো মানুষ এখন টিকা নিতে পারছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বলেছেন, দেশে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি বড় আকারে একটি টিকা কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে। ওইদিন এক কোটিরও অধিক মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। তবে ২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম আমরা বন্ধ রাখবো। তখন দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম চালু রাখবো।

নিকটস্থ কেন্দ্রেই পাওয়া যাবে টিকা, জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, এখন থেকে সবাই বাড়ির পাশে যেকোন কেন্দ্রে গিয়েই টিকা নিতে পারবেন। টিকা নিতে এলে সঙ্গে সঙ্গে একটা কার্ডও আমরা দিয়ে দেব, যেটি সার্টিফিকেট হিসেবে একরকম কাজ করবে।

টিআই/এসএম