ছবিতে রাশিয়া-ইউক্রেন হামলা-পাল্টা হামলার প্রথম দিন
ইউক্রেনে চলছে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোরে ইউক্রেনে স্থল, আকাশ ও নৌপথে হামলা চালায় রাশিয়া।
বিজ্ঞাপন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের কোনো একটি দেশের ওপর অন্য একটি দেশের এত বড় হামলা এটিই প্রথম।
বিজ্ঞাপন
হামলা শুরুর পরপরই ইউক্রেনের শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু হয়। রাজধানী কিয়েভে শোনা যায় বিস্ফোরণের শব্দ।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি, তার উদ্দেশ্য ইউক্রেন দখল নয়; বরং দেশটিকে সামরিকায়নের হাত থেকে রক্ষা করা।
পুতিনের ঘোষণার পরপরই যাত্রীবাহী বিমান বাতিল করে ইউক্রেন। এয়ারস্পেস তুলে দেয় দেশটির বিমানবাহিনীর হাতে। সারা দেশে জারি করা হয় মার্শাল ল। বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে ইউক্রেনে থাকা তাদের নাগরিকদের সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে।
বুধবার রাতে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে জাতিসংঘ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের অনুরোধে এ বৈঠক ডাকা হয়। জাতিসংঘের মহাসচিব শান্তির জন্য আলোচনায় বসার ডাক দিলেও পুতিন তার অভিযানের সিদ্ধান্তে অটল।
যুদ্ধের প্রথম দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিয়েভ, খারকোভ, ওডেসা-সহ বিভিন্ন শহরে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটে বলে খবর প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
ইউক্রেন দাবি করছে, তাদের সৈন্যরা রাশিয়ার অন্তত ৫০ সৈন্যকে হত্যা করেছে, সেই সঙ্গে রাশিয়ার পাঁচটি ফাইটার জেট ও দুটি হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ট্যাংক নিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে রাশিয়ার সৈন্যরা। এ পর্যন্ত হামলায় ইউক্রেনের অর্ধশতাধিক সৈন্য ও নাগরিক নিহত হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি হোয়াইট হাউজ থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখবেন বলে জানিয়েছেন। পাশপাশি জি-সেভেন ও ন্যাটোভুক্ত দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান।
আরএইচ