‘কী দারুণ সময়ে মস্কো এলাম!’ উচ্ছ্বসিত ইমরান খান
রাশিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যে গ্যাস বিনিময় প্রকল্প নথ-সাউথ পাইপলাইন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে ২ দিনের সফরে মস্কো গিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বুধবার বিকেলে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে বিমানে ওঠেন ইমরান খান, বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাকে বহনকারী বিমানটি মস্কো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। কাকতালীয়ভাবে ওইদিন সকালেই ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিজ্ঞাপন
এই পরিস্থিতিতে অবশ্য ঘাবড়ে যাননি পাকিস্তানের সাবেক ও একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেট অধিনায়ক ও দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, বরং প্রকাশ করেছেন উচ্ছাস।
রুশ সরকারের যে দলটি তাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছিল, তাদের উদ্দেশে ইমরান বলেন, ‘কী দারুন সময়ে আমি এলাম…. ব্যাপক উত্তেজনা চারদিকে।’
বিজ্ঞাপন
অভ্যর্থনা দলে থাকা এক রুশ কর্মকর্তাকে তিনি আবার বলেন, ‘আপনাদের একটা কথা বলি, মস্কোতে এসে আমরা রীতিমতো শিহরিত।’
— Murtaza Ali Shah (@MurtazaViews) February 24, 2022
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ইতোমধ্যে ইমরান খানের মস্কোতে পৌঁছানোর সেই ভিডিও টুইট করা হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের সাংবাদিক মুর্তাজা আলি শাহ ভিডিওটি টুইট করেছেন।
রুশ সরকারের ওই দলটি অবশ্য যথোযথ সম্মানের সঙ্গেই ইমরান খান ও তার সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানিয়েছে এবং বিমানবন্দরের টারমাক থেকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ইমরান খান ও তার সফরসঙ্গীদের গাড়িতে তুলে দিয়ে বলেছে, ‘জনাব খান, আগামীকাল আপনাদের সঙ্গে আলাপ হবে।’
আরব সাগরের তলদেশ দিয়ে ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস আমদানির করতে ২০১৫ সালে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছিল পাকিস্তান। সেই পাইপলাইনের নাম নর্থ-সাউথ পাইপ লাইন।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, রাশিয়ার কোনো একটি কোম্পানি এই পাইপলাইন নির্মাণ করবে এবং এই নির্মাণ প্রকল্পে যৌথভাবে অর্থায়ন করবে মস্কো ও ইসলামাবাদ।
কিন্তু সম্প্রতি সেই প্রকল্পে জটিলতা দেখা দিয়েছে। যে কোম্পনিকে পাইপলাইন নির্মানের ঠিকাদারি দেওয়া্ হয়েছিল, সেটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে।
এই জটিলতা নিরসনে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতেই মস্কো গেছেন ইমরান খান।
বৃহস্পতিবার সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে বিভিন্ন শহরে এ পর্যন্ত ২০৩টি হামলা চালিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের ৭৪টি সামরিক স্থাপনা ও ১১ টি বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব বার্তাসংস্থা আরআইএ নিউজ এজেন্সি।
এসএমডব্লিউ