ইউক্রেন ইস্যুতে গত কয়েকদিন ধরে যে শঙ্কা ছিল গতকাল তা বাস্তব হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পর গতকাল সকালে থেকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু হয়েছে। 

স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বৃষ্টির মতো। আক্রমণের প্রথম দিনেই দেশটিতে নিহত হয়েছেন ১৩৭ জন। 

রাশিয়ার সরকারি বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ওপর যেসব বিরোধিতা হয় তার ওপর নজর রাখা একটি স্বাধীন মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, ইউক্রেনে রুশ হামলার পর যুদ্ধের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অনেক শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।

এসব বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওভিডি-ইনফো নামের একটি সংগঠন, যারা বিরোধী দলের সমাবেশে গ্রেপ্তারের ওপর নজর রাখে, তারা জানিয়েছে, মস্কোতে ৯০০ জনকে এবং সেন্ট পিটার্সবার্গে ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিও এবং ছবিতে হাজার হাজার মানুষকে ‘যুদ্ধকে না বলুন’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় মিছিল করতে দেখা যায়। কিছু প্ল্যাকার্ডে সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবর অনুযায়ী, ইউক্রেন আক্রমণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মস্কোর পুসকিন স্কয়ারে হাজার হাজার মানুষ  জড়ো হয়েছিলেন।  সেন্ট পিটার্সাবার্গে বিক্ষোভ করেছেন প্রায় এক হাজার মানুষ।  

রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ভবনের সামনের গেটে স্প্রে পেইন্ট দিয়ে ‘সে নো টু ওয়ার’লেখা হয়েছে।  

রাশিয়া ছাড়াও বিশ্বের আরও অনেক শহরে যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শত শত বিক্ষোভকারী শরীরে ইউক্রেনের পতাকা জড়িয়ে জাতিসংঘের রুশ মিশনের দিকে মিছিল করেছে।

এনএফ