ফাইল ছবি

ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামো ধ্বংসে ক্রুজ মিসাইল দিয়ে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। আকাশপথ এবং সমুদ্র থেকে এসব মিসাইল ইউক্রেনে নিক্ষেপ করছে রাশিয়া। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য সামনে আনে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেঙ্কোভ বলেন, ‘আকাশপথে এবং সমুদ্র থেকে নিক্ষেপ করা ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করে রাতে রুশ ফেডারেশনের সশস্ত্র বাহিনী ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামোগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।’

এদিকে ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বের শহর মেলিতোপোল দখলে নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ক্রিমিয়া ও আজভ সাগরের নিকটেই অবস্থিত এই শহরে প্রায় দেড় লাখ মানুষের বসবাস।

গত বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনে ঢুকে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এটিকে অন্যতম বড় হামলার ঘটনা হিসেবে বলা হচ্ছে। ইউএনএইচসিআর বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক এক লাখ বাসিন্দা ইতোমধ্যে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে ৫০ লাখ পর্যন্ত মানুষ ইউক্রেনে ঘরছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা সংস্থাটির।

রুশ সেনাদের হামলার মুখে পিছিয়ে নেই ইউক্রেনও। দেশটির দাবি, রাশিয়ার দু’টি বড় পরিসরের সামরিক বিমান ভূপাতিত করেছে তারা। অন্যদিকে ভূপাতিত করা এই বিমান দু’টিতে ৩০০ জন পর্যন্ত রুশ সেনা অবস্থান করছিলেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও প্রায় ২০০ রুশ সেনাকে বন্দি করা হয়েছে।

ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী আরও দাবি করেছে, হামলা করতে এসে রাশিয়া এখন পর্যন্ত ১৪টি যুদ্ধবিমান, ৮টি হেলিকপ্টার এবং ১০২টি ট্যাংক হারিয়েছে। বিবিসি অবশ্য দেশটির এই দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।

অবশ্য রাশিয়াও এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনো কথা স্বীকার করেনি।

টিএম