ভারতের ঠিক কত শিক্ষার্থী ইউক্রেনে পড়ালেখা করেন তা নিয়ে মাথাব্যথা ছিল না কারও। তবে যুদ্ধ শুরুর পর একে একে যখন এর একটা চিত্র সামনে আসতে শুরু করল তখন তা অনেককেই বিস্মিত করেছে। 

দেখা যাচ্ছে ইউক্রেনে পড়তে যাওয়া ভারতীয় শিক্ষার্থীদের অনেকেরই রেজাল্ট ভালো থাকার পরও তারা দেশে লেখাপড়া না চালিয়ে গেছেন ইউক্রেনে। দেশটির খারকিভ শহরে রুশ বাহিনীর বোমাবর্ষণে নিহত ভারতীয় শিক্ষার্থী নবীন শেখারাপ্পা জ্ঞানগউধর সেই শিক্ষার্থীদেরই একজন। 

ওই ছাত্র কর্নাটকের বাসিন্দা। নবীনের মৃত্যুর পর তার বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

নবীন ইউক্রেনে মেডিকেলে পড়ছিলেন। এর জন্য সেখানে ছয় বছর সময় লাগে। কিন্তু ভারতের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর তুলনায় খরচ অনেক কম হওয়ায় ভারতীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই সেখানে পড়াশোনা করেন। 

ভারতের কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, প্রায় ৯০ শতাংশ ভারতীয় যারা বিদেশে মেডিকেল পড়েন, তারা ভারতের যোগ্যতা পরীক্ষায় পাস করতে ব্যর্থ হন। 

এদিকে ইউক্রেনে নিহত নবীন পিইউসিতে ৯৭ শতাংশ নম্বর পাওয়ার পরও রাজ্যে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পায়নি বলে জানিয়েছেন তারা বাবা। তিনি বলেন, মেডিকেল সিট পেতে, কোটি কোটি টাকা দিতে হবে এবং শিক্ষার্থীরা কম টাকা খরচ করে বিদেশে একই শিক্ষা পাচ্ছে। 

ইউক্রেনীয় মেডিকেল কলেজগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য কাউন্সিল দ্বারা স্বীকৃত এবং এই ডিগ্রিগুলো ভারতেও বৈধ। ইউক্রেনীয় মেডিকেল ডিগ্রিগুলো পাকিস্তান মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল, ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অব মেডিসিন এবং যুক্তরাজ্যের জেনারেল মেডিকেল কাউন্সিল দ্বারাও স্বীকৃত।

এনএফ