ঘর-বাড়ি ছেড়ে পোল্যান্ডে পাড়ি জমাচ্ছেন কয়েকজন ইউক্রেনীয়। ছবিটি পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে বুধবার তোলা

রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলার মুখে ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়ে গেছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। হামলা শুরুর পর মাত্র এক সপ্তাহে বিপুল সংখ্যক এসব মানুষ ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলোতে গেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে ঢুকে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ১ম দুদিন ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।

সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর এই এক সপ্তাহেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। সামরিক অবকাঠামোর বাইরে রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে আবাসিক ভবন, স্কুল ও হাসপাতাল। জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন লাখ লাখ ইউক্রেনীয়।

বিবিসি’র লুইস গোদালের বিশ্লেষণ, ২০১৫ সালে ১০ লাখ ৩০ হাজার মানুষ শরণার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু রাশিয়ার হামলা শুরুর প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের বর্তমান শরণার্থী সংখ্যা আগের এ সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।

এদিকে বুধবার (২ মার্চ) টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউক্রেনে অবস্থানরত আরও লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষকে জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা দিতে অস্ত্র বিরতির আবেদন জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার ধারণা, রাশিয়ার হামলা ও পাল্টাপাল্টি এই সংঘাত প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত করবে এবং এর ফলে তাদের ত্রাণের প্রয়োজন হবে।

টিএম/জেএস