করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ শেষ হতে চলল। ওমিক্রনের ধাক্কা সামলে স্বাভাবিকের দিকে ফিরছে সবকিছু। এরই মধ্যে চতুর্থ ঢেউয়ের আগাম সতর্কবাণী শোনালেন ভারতের আইআইটি কানপুরের গবেষকরা। জুন মাসে ভারতে আছড়ে পড়তে পারে করোনার চতুর্থ ঢেউ। এমনই আশঙ্কা তাদের।

গবেষকরা বলছেন, আলফা, বিটা, গামা এবং ডেল্টার পর করোনার আরও একটি নতুন ধরন সামনে আসতে পারে। তবে এর ভয়াবহতা নির্ভর করবে টিকার ওপর।

তিন গবেষকের মন্তব্য, রূপ বদলাতে পারে ওমিক্রন। ওমিক্রন-প্লাস হয়ে সেটা আসতে পারে। আর সেই প্রভাব অন্তত চার মাস থাকতে পারে। তবে ভারতের শীর্ষ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, সম্ভাব্য চতুর্থ কোভিড-১৯ প্রভাব আগেরগুলোর মতো গুরুতর নাও হতে পারে। তারা বলেছেন, চতুর্থ কোভিড ঢেউয়ের তীব্রতা নির্ভর করবে নতুন রূপের আবির্ভাব, টিকা দেওয়ার অবস্থা এবং বুস্টার ডোজের ওপর।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভারতে দ্রুত গতিতে গণটিকাদান কর্মসূচি এবং সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে করোনার আসন্ন ঢেউ মোকাবিলা করা সহজ হবে। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারতের ১৭৭.৬৭ কোটিরও বেশি মানুষকে করোনার টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, স্বাস্থ্যসেবা এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীদের এবং ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের ২ কোটিরও বেশি বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।

এসএসএইচ