ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ

যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ করে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন জানিয়েছে, এই যুদ্ধের উপযুক্ত জবাব দেবে মস্কো।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ পশ্চিমের প্রতি অভিযোগ করে বলেন,‘রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে পশ্চিমের যে উৎসাহ, তা আপনারা গত কয়েকদিনে দেখেছেন। কী নিষ্ঠুর আনন্দে তারা আমাদের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে গেছে।’

‘(ইউক্রেন ইস্যুতে) বর্তমানে বিশ্ব রাজনীতিতে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তার জন্য পশ্চিমের এসব নির্মমতা কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না। তাদের এসব আচরণের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আসলে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’

ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কাজ করা সংস্থা ক্যাস্টেলাম ডট এআই মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে জানিয়েছে, বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে শীর্ষে আছে রাশিয়া। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে গত দু’সপ্তাহে দেশটির বিরুদ্ধে ২ হাজার ৭৭৮টি নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

অতীতেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পশ্চিমা দেশগুলো। ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর জারিকৃত নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলোসহ রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক মোট নিষেধাজ্ঞার সংখ্যা এখন ৫ হাজার ৫৩০।

পশ্চিমের এসব নিষেধাজ্ঞার জবাবে রাশিয়া কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য তা স্পষ্ট করেননি পেসকভ; তবে ইঙ্গিত দিয়েছেন জ্বালানি সম্পদের আন্তর্জাতিক বাজারের দিকে।

‘আমরা দেখতে পাচ্ছি জ্বালানির বৈশ্বিক বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে— এবং আমরা সত্যিই জানিনা এই অস্থিরতা আর কতদিন থাকবে।’

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে ইতোমধ্যে তেল ও গ্যাসের দাম আকাশ ছুঁতে শুরু করেছে। রাশিয়া যদি রপ্তানি বন্ধ করে দেয়, তাহলে তা আরও বাড়তে পারে।

যদি তা-ই হয়, সেক্ষেত্রে এই সংকট কেবল জ্বালানির মধ্যে সীমিত থাকবে না। বরং বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবনযাত্রার মানে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে এবং বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম আরও বেড়ে যাবে।

সূত্র: রয়টার্স

এসএমডব্লিউ