তীব্র শীত এবং মিঠা পানির আধার হিসেবে খ্যাত দক্ষিণ মেরুর বরফাচ্ছাদিত অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে ব্যতিক্রমী উচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মহাদেশের পূর্বাঞ্চলে চলতি সপ্তাহে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা দেখা গেছে।

ফ্রান্সের আবহাওয়া দফতরের আবহাওয়াবিদ এতিয়েন কাপিকিয়ান এক টুইটে বলেছেন, অ্যান্টার্কটিকার ডোম সি কনকর্ডিয়া গবেষণা বেইজে শুক্রবার রেকর্ড মাইনাস ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১.৩ ফারেনহাইট) তাপমাত্রা নথিভুক্ত করা হয়েছে। কনকর্ডিয়া গবেষণা বেইজ অ্যান্টার্কটিকার ৯ হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।

সাধারণত গ্রীষ্মকালে অ্যান্টার্কটিকার দক্ষিণে তাপমাত্রা হ্রাস পায়। কিন্তু অ্যান্টার্কটিকার ডুমন্তে ডি’আরভিলে স্টেশনটি চলতি মার্চে তাপমাত্রা ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে। যদিও বছরের এই সময়ে তাপমাত্রা সাধারণত শূন্যের নিচে থাকে।

ফ্রান্সের আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তা গেতান হাইমস অসময়ের এই মৃদু আবহাওয়াকে ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ বলে বর্ণনা করেছেন। ভূ-বিজ্ঞানী জোনাথন উইল টুইটারে লিখেছেন, কনকর্ডিয়া তার সর্বকালের রেকর্ড দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙেছে।

তিনি বলেন, ‘এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের ২০২১ সালের তাপদাহের মতো ঘটনা। যা কখনই হওয়ার কথা ছিল না।’

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টার বলেছে, অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রের বরফ ১৯৭৯ সালের পর প্রথমবারের মতো ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ২০ লাখ বর্গ কিলোমিটার ধসে যাওয়ার পর তাপমাত্রার নজিরবিহীন এই ঘটনা ঘটেছে।

বিশ্বের দক্ষিণ প্রান্তের এই মহাদেশে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের পরিষ্কার ধারণা দেয়। পুরো বিশ্বের মিঠা পানির প্রায় ৯০ ভাগই মজুত রয়েছে এই মহাদেশে।
 
এসএস