হান্টার বাইডেন, ছবি: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস

ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর পেন্টাগনের আওতাধীন জৈব গবেষণাগারগুলোতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের মালিকানাধীন ইনভেস্টমেন্ট ফার্মের বিনিয়োগ ছিল বলে দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর রেডিয়েশন, কেমিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল ডিফেন্স ট্রুপস শাখার প্রধান ইগর কিরিলভ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

কিরিলভ বলেন, ‘ইউক্রেনের জৈব গবেষণাগার সম্পর্কিত যেসব তথ্য উপাত্ত ও নথি আমাদের হাতে এসেছে, সেসব বিশ্লেষণ করে আমরা জানতে পেরেছি— পেন্টাগন পরিচালিত গবেষণাগারসমূহে হান্টার বাইডেনের মালিকানাধীন বিনিয়োগ সংস্থা রোসেমন্ট সেনেকার বিনিয়োগ ছিল। এসব গবেষণাগারে অন্তত ২৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছিল রোসেমন্ট সেনেকা।’

অত্যাধুনিক জৈব অস্ত্র প্রস্তুত ও এ বিষয়ক গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে বিনিয়োগ করছে— এমন অভিযোগ গত কয়েক বছর ধরে করে আসছে মস্কো। সম্প্রতি দেশটিতে রুশ অভিযান শুরু হওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে এসব গবেষণাগার ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছে ইউক্রেনের সরকার এবং তাতে আরও দৃঢ় হয়েছে মস্কোর সন্দেহ।

ওয়াশিংটন এবং কিয়েভ অবশ্য বরাবরই মস্কোর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে গত ৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড ইউক্রেনে গবেষণাগার নির্মাণে ওয়াশিংটনের অর্থায়নের ব্যাপারটি স্বীকার করেছেন। তবে সেসব গবেষণাগারে জৈব অস্ত্র নিয়ে কোনো গবেষণা হতো না বলে দাবি করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে কিরিলভ জানান, ইউক্রেনে জৈব গবেষণাগার প্রকল্পে পেন্টাগন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা সংস্থা সিডিসি ও যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ক গবেষণাগার লস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিরও যুক্ততা ছিল।

এর আগে গত ১২ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, অত্যাধুনিক জীবাণু অস্ত্র নির্মাণে ২০০৫ সাল থেকে ইউক্রেনকে অর্থ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র: স্পুটনিক

এসএমডব্লিউ