পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে মতবিরোধ সত্ত্বেও পারমাণবিক অস্ত্রধারী ইরানকে ঠেকাতে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রোববার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ জেরুজালেমে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে পাশে রেখে এই ঘোষণা দিয়েছেন।

ইসরায়েল সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে জেরুজালেমে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইয়ার লাপিদ বলেন, পারমাণবিক চুক্তি এবং এর পরিণতি সম্পর্কে মতভেদ থাকলেও খোলামেলা ও সৎ সংলাপ আমাদের বন্ধুত্বের শক্তির অংশ।

তিনি বলেন, ‌পারমাণবিক ইরানকে প্রতিরোধে ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসাথে কাজ চালিয়ে যাবে।

এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রোববার ইসরায়েলে শীর্ষ আরব-ইসরায়েল সম্মেলনে ইসরায়েলি ও আরব অংশীদারদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, তেহরানের সাথে পারমাণবিক কূটনীতি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে গেলেও ওয়াশিংটন ইরানের যেকোনও হুমকি মোকাবেলা অব্যাহত রাখবে।

দুই দিনের ওই সম্মেলনে ইসরায়েলের সাথে আরব বিশ্বের যে তিনটি দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও অংশ নেবেন। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদের সভাপতিত্বে এবারের আরব-ইসরায়েল সম্মেলন রোববার এবং সোমবার চলবে।

সম্মেলনে ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মরক্কোও অংশ নেবে। ইসরায়েলের আয়োজিত এই সম্মেলনে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও অংশ নেবেন।

অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি যে বাক্সে ছিল সেই বাক্সে ফিরিয়ে আনার সর্বোত্তম উপায় হলো ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করা। তবে চুক্তি হোক বা না হোক ‌ইরানকে কখনই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেওয়া হবে না বলে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, সেটি অটুট থাকবে।

‘‌ইরান আমাদের অথবা আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের যখনই হুমকি দেবে, যুক্তরাষ্ট্র তখনই তার পাশে দাঁড়াবে।’

ইসরায়েলের সঙ্গে ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোও সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এই অঞ্চলে সম্পর্ক স্বাভাবিক করাই এখন নতুন বাস্তবতা হয়ে উঠেছে। অন্যান্য দেশও ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে বলে ওয়াশিংটন আশা করে।

এসএস