ইউক্রেন ইস্যুতে তুরস্কে ফের বৈঠক করবেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজধানী আঙ্কারায় এই বৈঠক হবে বলে বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ওই ভাষণে কাভুসোগলু বলেন, ‘আগামী এক কিংবা দু’সপ্তাহের মধ্যে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক হবে। এই বৈঠক হবে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে।’

‘আমরা সবাই ইউক্রেনে একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি চাই এবং উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একত্র হলে তা সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করছি। পূর্বের বৈঠকের মতো আগামী বৈঠকেও তুরস্ক নিরপেক্ষ মধ্যস্ততার ভূমিকা নেবে।’

এর আগে গত ১০ মার্চ তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আনতালিয়ায় বৈঠকে বসেছিলেন সের্গেই ল্যাভরভ ও দিমিত্র কুলেবা, কিন্তু সেই বৈঠক থেকে দুই দেশের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতির কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর ৫ দিন পর বেলারুশের সীমান্তবর্তী শহর গোমেলে সংলাপ শুরু করেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের আমন্ত্রণে চলতি সপ্তাহে গোমেল থেকে আঙ্কারায় স্থানান্তর করা হয়ে সে সংলাপ। মঙ্গলবার ইতোমধ্যে প্রথম দফার বৈঠক শেষ করেছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।

মঙ্গলবারের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনে কিছু অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারের সাক্ষাৎকারে এ সম্পর্কে কাভুসোগলু বলেন, ‘সবকিছু কি শেষ হয়ে গেছে? না, হয়নি…. আমাদের পর্যবেক্ষণ বলছে,দুই দেশের উত্তেজনা প্রশমণের ব্যাপারে খানিকটা হলেও অগ্রগতি এসেছে।’

ইউক্রেন ইস্যুতে তুরস্কের অবস্থান বেশ স্বতন্ত্র। দেশটি একই সঙ্গে ন্যাটোর সদস্য এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের ঘনিষ্ঠ মিত্র। ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর থেকে ন্যাটোর বিভিন্ন সদস্যরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তুরস্ক সে পথে হাঁটেনি; বরং বরাবরই বলে এসেছে, কূটনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে দুই দেশের মধ্যকার সমস্যা সমাধান হওয়া প্রয়োজন।

সূত্র: এএফপি

এসএমডব্লিউ