দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীর একটি কেটি-১ মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান। ছবিটি ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর তোলা

দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীর দু’টি বিমানের মধ্যে মাঝ আকাশে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিমান দু’টির ৩ জন পাইলট নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। শুক্রবার (১ এপ্রিল) প্রশিক্ষণের সময় এই দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।

পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার প্রশিক্ষণের সময় বিমান বাহিনীর দু’টি বিমানের মধ্যে মাঝ-আকাশে সংঘর্ষ হয়। পরে বিমান দু’টি দক্ষিণ-পূর্ব শহর সাচিওনের একটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে তিনজন নিহত এবং আরও একজন আহত হয়েছেন।

বিভাগীয় নিয়মের কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় তারা বেসামরিক হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য এখনও পাননি। দুর্ঘটনার পর ইতোমধ্যেই তিনটি হেলিকপ্টার, ২০টি যানবাহন এবং কয়েক ডজন জরুরি কর্মীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

ব্লুমবার্গ বলছে, মাঝ আকাশে সংঘর্ষ হওয়া ওই দু’টি বিমান মূলত কেটি-১ প্রশিক্ষণ বিমান। এই মডেলের এয়ারক্রাফটে দু’টি করে আসন থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনী এই সংঘর্ষের কথা নিশ্চিত করেছে।

তবে বিমান বাহিনীর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি তারা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে এবং বিমানের পাইলটরা নিরাপদে বের হওয়ার চেষ্টা করেছিল কি না সেটিও জানার চেষ্টা করছে। অবশ্য সংঘর্ষের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীর এফ-৫ই মডেলের একটি যুদ্ধবিমান রাজধানী সিউলের দক্ষিণে হাওয়াসেং শহরের পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল। সে ঘটনায় বিমানটির পাইলট নিহত হয়েছিলেন।

টিএম