যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় আকাশে দু’বার ‘ডাইভ’ দিল বিমান, আর তাতে আতঙ্কিত যাত্রীরা পেলেন ক্ষণিকের জন্য শূন্যে ভাসার অভিজ্ঞতা। রোববার মালয়েশিয়ার উপকূলীয় শহর সাবাহ থেকে রাজধানী কুয়ালালামপুরগামী একটি বিমানে ঘটেছে এ ঘটনা।

ওই বিমানের এক ভুক্তভোগী যাত্রী হালিমা নাসোহা। ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে সাবাহ শহরের ক্লিয়া বিমানবন্দর থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে বোয়িং সিরিজের ৭৩৭-৮০০ বিমানটি।

কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে উড্ডয়নের আধা ঘণ্টার পর হঠাৎ প্রায় ৩১ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে ২৪ হাজার ফুটে নেমে যায় বিমানটি। হালিমা জানান, মোবাইলে থাকা ফ্লাইট রাডার অ্যাপ থেকে উচ্চতার তারতম্যের এই তথ্য জানতে পেরেছেন তিনি।

তিনি বলেন, তার বিমানের সিটবেল্ট ঠিকমতো বাঁধা ছিল না এবং তার মতো আরও যেসব যাত্রীর সিটবেল্টের বাঁধন আলগা ছিল, তারা এ ঘটনায় ক্ষণিকের জন্য শূন্যে ভাসার অভিজ্ঞতা পেয়েছেন।

এদিকে, নিচে নামার পর প্রায় আধাঘণ্টা চলে বিমানটি। এরপর ফের দ্বিতীয় দফা ‘ডাইভ’ দেয় বিমানটি। তবে এবার সিটবেল্ট বাঁধা থাকায় শূন্যে ভাসার অভিজ্ঞতা হয়নি কারও। তবে যাত্রীদের চিৎকার ও কান্নাকাটির কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিমানে।

তারপরই বিমানটি আর না এগিয়ে ক্লিয়া বিমানবন্দরে ফেরার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে বলে জানান হালিমা। সেখানে কানেক্টিং ফ্লাইট ধরে অবশেষে রাত সাড়ে ৯ টায় কুয়ালালামপুর পৌঁছান তিনি।

বিমানটির মালিক মালয়েশিয়াভিত্তিক বিমান পরিষেবা সংস্থা এমএএস। এক বিবৃতিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটির দেখা দেওয়াতে এই সমস্যা হয়েছে। যাত্রীদের জানমালের ঝুঁকি এড়াতেই ক্লিয়া বিমানবন্দরে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাইলট।

সূত্র: দ্য স্ট্রেইট টাইমস।

এসএমডব্লিউ