অভিবাসনপ্রত্যাশী ও অধ্যয়নরত বিদেশী শিক্ষার্থী, যারা স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাস করতে আগ্রহী— তাদেরকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডার সরকার। দেশটির অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী সিন ফ্রেসার শুক্রবার এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

অভিবাসনমন্ত্রী বলেছেন, কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেসব বিদেশী শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্স শেষ করেছেন এবং এখনও কানাডায় বসবাস করছেন, তাদেরকে ওয়ার্ক পারমিট বাড়ানোর জন্য আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে।

চলতি বছর গ্রীষ্ম থেকেই শুরু হচ্ছে এই প্রকল্প এবং এর আওতায় আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ আরও ১৮ মাস বাড়ানো হবে।

কানাডার অভিবাসন বিষয়ক দপ্তর ইমিগ্রেশন, রেফিউজিস অ্যান্ড সিটিজেনশিপ ইন কানাডার (আইআরসিসি) হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছর প্রায় ৯৫ হাজার স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীর ওয়ার্ক পারমিট মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে। এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসে আগ্রহী।

ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ যদি বাড়ানো হয়, তাহলে এই শিক্ষার্থীরা স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন শর্ত পূরণে আরও সময় পাবেন বলে মনে করছেন আইআরসিসির কর্মকর্তারা।

ছাত্রদের পাশাপাশি বৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্যও স্বস্তিকর নিয়ম জারি করছে আইআরসিসি। করোনা মহামারির গত দুই বছর ছাড়া বিগত প্রতিটি বছরই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক দক্ষ কর্মী, উদ্যোক্তা ও আবাসন প্রত্যাশীদের কানাডায় প্রবেশের অনুমতি দিয়ে আসছে দেশটির সরকার।

চলতি ২০২২ সালের গ্রীষ্ম থেকে ফের এই প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে।

কানাডার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়— (১) কানাডায় বসবাস করছেন কিন্তু স্থায়ী থাকার অনুমতি পাননি এবং (২) বাইরের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত লোকজন, যারা কানাডায় আবাস করতে আগ্রহী।

কানাডায় বসবাস করছেন কিন্তু স্থায়ীভাবে থাকার অনুমোদন না থাকা লোকজনকে বলা হয় কানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স ক্লাস (সিইসি)। আর বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে যারা কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ চান তাদেরকে ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার (এফএসডব্লিউ) এবং ফেডারেল স্কিলড ট্রেডার্স (এফএসটি)— দুই ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়।

আইআরসিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছর থেকে আবেদন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করা ও সময় কমানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।  আইআরসিসি জানিয়েছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই ও সর্বোচ্চ স্কোরধারীকে বসবাসের অনুমোদন দিতে এতদিন ৭ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত সময় ব্যয় করা হতো। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ৬ মাসের মধ্যে এ বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে।

শুক্রবারের ভাষণে কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী সিন ফ্রেসার বলেন, ‘আমরা একটি সহজ ও ত্বরিৎগতির অভিবাসন প্রক্রিয়া চালু করতে চাই। আগামী সপ্তাহগুলোতে এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন জনগণ।’

সূত্র: ইকোনমিক টাইমস

এসএমডব্লিউ