পুল রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিযুক্ত একজন শিক্ষক করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধের আশায় মাসের পর মাস ধরে পানির ট্যাপ চালু রাখায় জাপানের একটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে ২৭ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা) বিল দিতে হয়েছে। 

তবে স্কুলের যে শিক্ষক পুলের ট্যাপ চালু রেখেছিলেন, তাকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। ওই শিক্ষক ভেবেছিলেন, অবিরাম পানির প্রবাহ থাকলে পুলটি কোভিড মুক্ত থাকবে। পুলের এই ট্যাপ গত বছরের জুনের শেষ দিক থেকে সেপ্টেম্বরের শুরু পর্যন্ত টানা চালু ছিল।

স্থানীয় শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা আকিরা কোজিরি ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‌সাধারণত ক্লোরিন এবং ফিল্টারিং মেশিন পুলের পানির মান বজায় রাখে। কিন্তু ওই শিক্ষক হয়তো কোনোভাবে ভুল ধারণা পেয়েছিলেন যে, পুলে নতুন পানি ঢালার কৌশল কাজে লাগবে এবং এটি কোভিড প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

স্কুলের অন্য স্টাফরা মাঝে মাঝেই এই পানির ট্যাপ চালু দেখতে পান এবং তারা সেটি বন্ধ করেন দেন। কিন্তু ওই সহকর্মী সেটি  পুনরায় চালু করেন।

কোজিরি বলেন, এর ফলে দুই মাসের কিছু বেশি সময়ে স্কুলের পুলে প্রায় ৪ হাজার টন অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করা হয়েছে। পুলটি এই পানি দিয়ে ১১ বারের বেশি ভরাট করা যেতো।

জাপানের মধ্যাঞ্চলীয় কানাগাওয়া প্রিফেকচারের ইয়োকোসুকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষক এবং দুই সুপারভাইজারকে সাড়ে মিলিয়ন ইয়েন (২৭ হাজার মার্কিন ডলার) বিলের অর্ধেক দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

এক বিবৃতিতে ইয়োকোসুকা কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‌আমাদের শহরের (আর্থিক) ক্ষতি করার জন্য আমরা বাসিন্দাদের কাছে গভীরভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

সূত্র: এএফপি।

এসএস