যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস (ফাইল ছবি)

একদিন আগেই পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি বলেছিলেন, পারমাণবিক সংঘাতের যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে এবং বিশ্বকে অবশ্যই এটি খাটো করে দেখা উচিত নয়। এরপরই ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উত্তপ্ত থাকা বৈশ্বিক রাজনীতিতে দেখা দেয় নতুন উত্তেজনা।

অবশ্য রাশিয়ার এই শীর্ষ কূটনীতিকের একদিন আগে করা এই মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দাবি, পরমাণু অস্ত্র নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য চরম দায়িত্বহীনতা। একইসঙ্গে এই ধরনের মন্তব্যকে ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যর্থতা এড়ানোর চেষ্টা বলেও অভিহিত করেছে দেশটি। বুধবার (২৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে বা পরমাণু উত্তেজনা বাড়ানো নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করাটা দায়িত্বজ্ঞানহীন। এটি চরম দায়িত্বহীনতা।

প্রাইসের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র এরপরও রাশিয়ার কার্যকলাপের প্রতি গভীর মনোযোগ দিচ্ছে। দেশটি কী করছে এবং কী করছে না সেদিকেও খেয়াল রাখছে ওয়াশিংটন।

সোমবার রাশিয়ার ফার্স্ট চ্যানেলের সাথে কথা বলার সময় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, পারমাণবিক সংঘাতের যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে। তবে কৃত্রিমভাবে বাড়ানো এ ধরনের ঝুঁকি এড়াতে চায় মস্কো। এটিই আমাদের মূল অবস্থান যার ওপর ভিত্তি করে আমরা কাজ করছি। (পারমাণবিক সংঘাতের) ঝুঁকি এখন যথেষ্ট।

ল্যাভরভ আরও বলেন, ‘আমি কৃত্রিমভাবে সেই ঝুঁকিগুলো বাড়াতে চাই না। তবে অনেকেই এটি চাইবেন। (পারমাণবিক সংঘাতের) বিপদটি গুরুতর, বাস্তব এবং আমাদের অবশ্যই এটিকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।’

অবশ্য রাশিয়ার শীর্ষ কূটনীতিকের এমন হুঁশিয়ারির পরও নেড প্রাইস বলছেন, মস্কোর এমন মনোভাবের পরও নিজের পারমাণবিক নীতি পরিবর্তনের কোনো কারণ দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র।

টিএম