ভারতের ত্রিপুরা অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব

ভারতের ত্রিপুরা অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব দেশটির রাজনীতি নিয়ে নতুন এক মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। তার এই বিতর্কের বিষয় আন্তর্জাতিক রাজনীতি। রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, বিজেপির রাজনীতি সম্প্রসারণ শুধু দেশেই নয়, বরং বিদেশেও অর্থাৎ প্রতিবেশি দেশগুলোতেও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।

বিপ্লব কুমার দেব বলেছেন, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালেও বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনার সময় ত্রিপুরার এই মুখ্যমন্ত্রী ২০১৮ সালে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির সময় আলোচনায় এই বিষয়টি প্রথম উঠে আসে বলে জানান। ওই নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যের বাম জোটের সরকারকে পরাজিত করে।

বিপ্লব দেব বলেন, বিজেপির তৎকালীন প্রধান অমিত শাহ এক বৈঠকে ভারতের সব রাজ্যে জয়ের পর বিদেশেও দলটির সম্প্রসারণের বিষয়ে কথা বলেন। ওই সময় বিজেপির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সেক্রেটারি অজয় জামওয়ালের সঙ্গে রাজ্যের গেস্ট হাউসে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

সেই সময় অজয় জামওয়াল বলেছিলেন, বিজেপি বেশ কয়েকটি রাজ্যে সরকার গঠন করেছে। জবাবে অমিত শাহ বলেন, এখন শুধুমাত্র নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা বাকি রয়েছে।

তিনি বলেন, এখন আমাদের শ্রীলঙ্কা, নেপালে বিজেপির সম্প্রসারণ এবং সেখানে সরকার গঠনের জন্য জয়ী হতে হবে। তবে ওই সময় এই মন্তব্য শুধুমাত্র হাসি-ঠাট্টার ছলে করা হয়েছিল কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

আগামী নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস হেরে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন বিপ্লব কুমার দেব। বিজেপিকে বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করায় অমিত শাহর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, কেরালায় প্রত্যেক পাঁচ বছরে বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে সরকার পরিবর্তনের প্রবণতা পাল্টে দেবে বিজেপি। এর ফলে দক্ষিণাঞ্চলীয় এই রাজ্যে বিজেপি বিজয়ী হিসেবে আবির্ভূত হবে।

অতীতেও ত্রিপুরার এই মুখ্যমন্ত্রী বেশ কয়েকবার বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনায় পড়েন। ২০১৮ সালের এপ্রিলে তার ব্তির্কিত মন্তব্য ‘মহাভারতের যুগেও ইন্টারনেট এবং স্যাটেলাইট যোগাযোগব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ হাসির খোরাক জোগায়।

সূত্র: এনডিটিভি।

এসএস