লন্ডনে স্বেচ্ছানির্বাসিত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজের (পিএমএল-এন) সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফের সাজা বাতিল অথবা স্থগিতের বিষয়ে বিবেচনা করছে সরকার। আর এই বিষয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় অথবা প্রাদেশিক আইনের বিধান প্রয়োগ করা হতে পারে।

সোমবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ খান একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, কোনও অভিযুক্ত ব্যক্তির সাজা বাতিল বা স্থগিত এবং মামলায় ভুল সাজা হওয়ায় তাকে আইনের আদালতে নতুন করে মামলার শুনানির সুযোগ দিতে ফেডারেল এবং পাঞ্জাব উভয় সরকারের ক্ষমতা আছে।

তিনি বলেন, এসব বিধি-বিধান পিএমএল-এনের সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফ এবং অন্যদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ২০১৯ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে স্বেচ্ছা নির্বাসিত জীবন বেঁচে নেওয়া মিয়া নওয়াজ শরিফকে তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশে আসার সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানিয়েছেন সানাউল্লাহ খান।

মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত নওয়াজ শরিফকে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা করেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পাওয়ার পর ২০১৯ সালের নভেম্বরে লন্ডনে পাড়ি জমান সাবেক এই পাক প্রধানমন্ত্রী। তখন থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন দুর্নীতির একাধিক মামলার এই আসামি।

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া ‌ভুল সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দুই বছর আগে ব্রিটেনে অবস্থানরত পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর পাসপোর্ট বাতিল করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার।

পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বড় ভাই নওয়াজ শরিফ। গত ৯ এপ্রিল সংসদে অনাস্থা ভোটে ইমরান খান হেরে যাওয়ার পর পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন শেহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসার পরপরই বড় ভাই নওয়াজ শরিফকে পাসপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন শেহবাজ শরিফ।

এবার সাজা বাতিলের চিন্তা-ভাবনা শুরু করায় ঈদুল ফিতরের পরপরই নওয়াজ দেশে ফিরতে পারেন বলে পিএমএল-এনের নেতারা প্রত্যাশা করছেন।

এসএস