কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের রেশ এখনও কাটেনি। এবার উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের জন্ম হয়েছে নতুন বিতর্কের। সব ধর্মের শিক্ষার্থীদের ঈদের সময় ফেজ টুপি ও কুর্তা পরে ভিডিও করার নির্দেশ দিয়েছিলেন নয়ানগর পাবলিক স্কুলের প্রিন্সিপাল বুশরা মুস্তাফা। বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। 

স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এর আগে দিওয়ালি, দসেরা কিংবা স্বাধীনতা দিবসেও বিশেষ পোশাক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল শিক্ষার্থীদের। কিন্তু এতেও বিতর্ক থামার নাম নেই।

ইতিমধ্যেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের গোরক্ষা বিভাগের আঞ্চলিক প্রধান লালমণি তিওয়ারির অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিএসই অনুমোদিত ন্যায়নগর পাবলিক স্কুলের প্রিন্সিপাল বুশরা মুস্তাফার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এদিকে অভিযোগকারী লালমণি তিওয়ারি বলেন, প্রিন্সিপাল বুশরা মুস্তাফা একজন মুসলিম। নিজের পদের ফায়দা তুলে তিনি এ কাজ করেছেন সাম্প্রদায়িক মানসিকতা থেকে। ৩ মে ছিল অক্ষয় তৃতীয়া ও পরশুরাম জয়ন্তী। কিন্তু তা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা ছিল না প্রিন্সিপালের। তিনি ছেলেদের ফেজ টুপি ও কুর্তা এবং মেয়েদের ওড়না-কুর্তা পরে সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভিডিও বানাতে বলেছেন।

প্রয়াগরাজের পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট অজয় কুমার বলেন, আমরা প্রিন্সিপালের বয়ান রেকর্ড করেছি। বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার উদ্দেশ্যে ওই নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন কি না। তিনি জানিয়েছেন, যাতে সব পড়ুয়ারাই একে অপরের ধর্ম সম্পর্কে জানতে পারে সেই কারণেই সকলকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। বুধবারই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছি আমরা।

এদিকে এ অভিযোগের পেছনে প্রতিবেশী স্কুলের দিকেই আঙুল তুলেছেন স্কুলের সেক্রেটারি সুচিত্রা ভার্মা। তার মতে, আমাদের প্রিন্সিপাল ধর্মীয় নিরপেক্ষ মানসিকতার মানুষ। এ ঘটনাটাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। পাশেই একটি স্কুল রয়েছে। আমার মনে হয় সেখানকার কিছু লোকের কারসাজিতেই এটাকে ইস্যু বানিয়ে তোলা হচ্ছে।

এসকেডি