এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চাঞ্চল্যকর হাজার কোটি টাকা লোপাট মামলার মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) কাছে বাংলাদেশ, ভারতের পাসপোর্টের পাশাপাশি গ্রেনাডার পাসপোর্টও মিলেছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেনাডার পাসপোর্টের তথ্য পাওয়া গেছে বলে রোববার ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে ইডির কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে ৯ হাজার কোটি টাকা লোপাটের মূলহোতা প্রশান্ত কুমার হালদারসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অর্থ পাচারবিরোধী আইনের আওতায় শনিবার পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ইডির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‌‘ভারতীয় নাগরিক শিবশঙ্কর হালদারের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন প্রশান্ত কুমার হালদার। অভিযানের সময় জানা গেছে, অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে জালিয়াতি করে তিনি ভারতের বিভিন্ন সরকারি পরিচয়পত্র যেমন রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, প্যান এবং আধার কার্ড সংগ্রহ করেছিলেন।’

একই সঙ্গে পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা জালিয়াতির মাধ্যমে পাওয়া পরিচয়ের ভিত্তিতে ভারতে কোম্পানি পরিচালনা করেছেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গে স্থাবর-অস্থাব বিপুল সম্পত্তিও কিনেছেন বলে অভিযোগ করেছে ইডি।

ভারতীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, ‘আরও জানা গেছে যে, মামলাটি প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের আওতায় আন্তঃসীমান্ত অপরাধ। কারণ প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ১০ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক জালিয়াতি এবং বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতীয় পাসপোর্ট ছাড়াও তার কাছে গ্রেনাডার পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।’

বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা (ইন্টারপোল) প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিসও (আরসিএন) জারি করেছে।

হাজার কোটি টাকা লোপাটের মূলহোতা প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে শিব শঙ্কর হালদার ছাড়াও তার সহযোগী স্বপন মৈত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রী, উত্তম মৈত্র ওরফে উত্তম মিস্ত্রি, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার, আমিনা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদার ও প্রাণেশ কুমার হালদারকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি।

এসএস