চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যে দেশটি এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে এককভাবে যে দেশটি সবচেয়ে বেশি আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়েছে, তার নাম যুক্তরাষ্ট্র; এছাড়া ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিও দেশটিতে সহায়তা পাঠিয়েছে।

কিন্তু এই সামরিক সহায়তা ইস্যুতেই বর্তমানে দুই দেশের প্রতি হতাশ ইউক্রেন।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তিন জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মার্কিন রাজনৈতিক সাময়িকী পলিটিকোকে জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন আগে ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনের কাছে এম ২৭০  মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএলআরএস) ও এম ১৪২ হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমের (এইচআইএমএআরএস) জন্য আবেদন করেছিল কিয়েভ।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এই আবেদনে সাড়া না দিয়ে ইউক্রেনে পাঠিয়েছে ৯০ টি এম ৭৭৭ হাউইটজার রকেট লাঞ্চার।

এম ২৭০ এমএলআরএস থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ৭০ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। অন্যদিকে আধুনিক এম ১৪২ এইচআইএমএআরএস থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে পারে ৩০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে।

এই দুই রকেট লাঞ্চারের তুলনায় এম ৭৭৭ হাউইটজার রকেট লাঞ্চারের সক্ষমতা অনেক কম।

যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের এক আইন প্রণেতা এ সম্পর্কে পলিটিকোকে বলেন, ‘সামরিক সহায়তা বাবদ ইউক্রেনের জন্য যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, তার মধ্যেই অস্ত্র কিনে পাঠানো হচ্ছে দেশটিতে।’

‘যে দুটি রকেট লাঞ্চারের কথা বলা হলো, সেগুলোর মূল্য অনেক বেশি। তাই ওয়াশিংটন হাউইটজার রকেট লাঞ্চার পাঠিয়েছে ইউক্রেনে।  

এদিকে, কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, অস্ত্র সহায়তা নিয়ে জার্মানির ওপরও হতাশ ইউক্রেন। গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টেইন ল্যাম্ব্রেশটের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে কুলেবা বলেন, জার্মানি এর আগে ইউক্রেনে জেপার্ড সেলফ প্রোপেল্ড অ্যান্টি এয়ারক্রাফট অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কবে নাগাদ এই অস্ত্র আসবে ইউক্রেনে?

জবাবে ল্যাম্ব্রেশট বলেন, আপাতত ইউক্রেনে এই অস্ত্র পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই জার্মানির।

সূত্র: আরটি

এসএমডব্লিউ