ছবি: তাস

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর খেরসন ও দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জাপোরিজ্জিয়ার বাসিন্দাদের রুশ পাসপোর্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার এ বিষয়ক এক ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ সেনাবাহিনীর ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর ইতোমধ্যে খেরসনের পূর্ণ দখর চলে এসেছে রুশ বাহিনীর হাতে। জাপোরিজ্জিারও প্রায় অর্ধেক এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে রাশিয়া।

মস্কো ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনের কর্মকর্তারা বলেছেন, অদূর ভবিষ্যতে এই দুই অঞ্চলকেই রাশিয়ার অংশ হিসেবে দেশটির মানচিত্রে অন্তর্ভূক্ত করা হবে।

২০১৯ সালে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্কের জন্যও একই ডিক্রি জারি করেছিল রাশিয়া। তার আওতায় বর্তমানে দনেৎস্ক ও লুহানস্কের হাজার হাজার মানুষ রাশিয়ার পাসপোর্টের অধিকারী।

নিয়ম অনুযায়ী রাশিয়ার নাগরিকত্ব পেতে হলে সেই দেশটিতে বসবাসের রেকর্ড থাকতে হয়, আর্থিক সঞ্চয় বিষয়ক তথ্য জমা দিতে হয় এবং রুশ ভাষা বিষয়ক পরীক্ষায় পাস করতে হয়। কিন্তু পুতিন যে ডিক্রিতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন, সেটি বাস্তবায়ন হলে খেরসন ও জাপোরিজ্জায়ার আগ্রহী বাসিন্দাদের এসব শর্ত পালন না করলেও চলবে।

দনেতস্ক ও লুহানস্কের রুশ পাসপোর্টধারীদেরও এসব শর্তের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি। পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে দুই মাস সীমান্তে সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণার দু’দিন আগে ২২ ফেব্রুয়ারি দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।

ইতোমধ্যে তৃতীয় মাসে গড়িয়েছে ইউক্রেনে রুশ সেনাদের বিশেষ সামরিক অভিযান। এই তিন মাসে ইউক্রেনের দুই বন্দর শহর খেরসন ও মারিউপোলের পূর্ণ দখল নিয়েছে রাশিয়া। জাপোরিজ্জিয়ারও একটি বড় অংশ চলে গেছে রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।

সূত্র: এএফপি

এসএমডব্লিউ