আগামী জুন থেকে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ‘পিরিয়ড পণ্য’ সরবরাহ করবে নিউজিল্যান্ডের স্কুলগুলো। দারিদ্র্যতার কারণে এসব পণ্যসামগ্রী কিনতে না পারার মতো সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। খবর বিবিসি অনলাইনের।   

স্যানিটারি ও ট্যাম্পুন প্যাডসহ পিরিয়ড সংক্রান্ত অন্যান্য পণ্য কিনতে না পারার কারণে কিছু নারী শিক্ষার্থী পিরিয়ডকালে স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ থেকেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গত বছর পাইলট প্রোগ্রামের আওতায় নিউজিল্যান্ডের ১৫টি স্কুলে পরীক্ষামূলকভাবে এই কর্মসূচি চালু করা হয়। ওই কর্মসূচি সফল হওয়ার পর আগামী জুন থেকে দেশটির সমস্ত স্কুলে বিনামূল্যে এসব পণ্য সরবরাহ করা হবে।  

প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেছেন, ‘দেশের অর্ধেক জনসংখ্যাই তো নারী। তাদের জীবনের একটি সাধারণ অংশ পিরিয়ড। কিন্তু শুধু পিরিয়ডের কারণে এমন অনেকের পড়াশোনা বন্ধ থাকবে, তা হতে দেওয়া উচিত নয়।’

তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতি ১২ জন তরুণ শিক্ষার্থীর একজনের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, কারণ তারা পিরিয়ড সংক্রান্ত পণ্যগুলো কিনতে পারে না। নিম্ন-আয়ের পরিবারের নারী শিক্ষার্থীরাই মূলত এই সংকটে ভুগছেন।’

বৃহস্পতিবার জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেন, দারিদ্র নিরসনে সরকারের একটি পদক্ষেপ হলো বিনামূল্যে পিরিয়ড প্রোডাক্ট সরবরাহ করা। এতে করে স্কুলে উপস্থিতি বাড়া ছাড়াও তা কিশোরদের স্বাস্থ্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। 

এই কর্মসূচির জন্য এখন থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড সরকারের ব্যয় হবে ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

গত নভেম্বরে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে স্কটল্যান্ড যার প্রয়োজন তাকেই বিনামূল্যে স্যানিটারি প্রোডাক্ট সরবরবাহ করার ঘোষণা দেয়। এরমধ্যে জনসমাগমস্থলেও এই কর্মসূচি চালু রাখার কথা জানিয়েছে দেশটি।  

এদিকে গত বছর থেকে ইংল্যান্ডের সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে পিরিয়ড প্রোডাক্ট সরবরাহ শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অঙ্গরাজ্য স্কুলে বিনামূল্যে পিরিয়ড প্রোডাক্ট সরবরাহে আইন পাস করেছে।  

এএস