রেল অবরোধের জেরে আটকে গেছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী এক্সপ্রেস। প্রায় আড়াই ঘণ্টা রানাঘাট-গেদে শাখায় তারকনগর হল্ট স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেনটি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি বিধায়ক।

পরে তার আশ্বাসে অবরোধ উঠলে আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। শুক্রবার (১০ জুন) এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের দাবি, তারকনগর হল্টে রেলগেট তৈরি করতে হবে। নিজেদের যাতায়াতের জন্য অস্থায়ীভাবে তারা বাঁশ দিয়ে রেলগেট বানিয়েছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে এলাকাবাসীর।

এজন্য ১০-১২টি গ্রামের বাসিন্দারা শুক্রবার রেল লাইনে অবরোধ শুরু করেন। এর ফলে রানাঘাট-গেদে শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

অবরোধের জেরে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে পড়ে কল্যাণী স্টেশনের কাছে। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গেছে।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে দুই বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত ২৯ মে শুরু হয় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ট্রেন চলাচল। ওইদিন সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ১৬৫ জন যাত্রী নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় মৈত্রী এক্সপ্রেস।

২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল (পয়লা বৈশাখ) ঢাকা-কলকাতার মধ্যে যাত্রা শুরু করেছিল যাত্রীবাহী ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস। সে সময় দু’দেশের সীমান্তবর্তী দর্শনা ও গেদে রেলস্টেশনে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন-কাস্টমস করা হতো।

এরপর যাত্রীদের যাত্রাসময় কমানোর জন্য দু’দেশের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ইমিগ্রেশন-কাস্টমস সীমান্তবর্তী স্টেশন দর্শনা ও গেদের পরিবর্তে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট ও কলকাতার চিতপুর স্টেশন থেকে করা শুরু হয়।

এমএইচএস