জি ৭ বৈঠকে বাইডেনের আলোচনায় টিকা, অর্থনীতি ও চীন
উন্নত বিশ্বের ৭ শিল্পোন্নত দেশের সরকারপ্রধানদের জোট জি ৭ এর শুক্রবারের বৈঠকে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন করোনা মহামারি, মহামারির কারণে বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতি এবং চীনের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে আলোচনা করবেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ সম্পর্কে বলেন, ‘বৈঠকে প্রেসিডেন্ট মহামারি এবং এ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়, যেমন—টিকা উৎপাদন, বণ্টন ও সরবরাহ, মহামারি পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এবং চীনের আরোপিত সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।’
বিজ্ঞাপন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই প্রথম জি ৭ বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন বাইডেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ২ টা থেকে শুরু হবে এই বৈঠক। এবারের বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
সাবেক রিপাবলিকান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রধান নীতি ছিল ‘আমেরিকা প্রথম’। আগের জি ৭ বৈঠকগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারপ্রধান হিসেবে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প উপস্থিত থাকতেন, এই নীতির ওপর ভিত্তি করেই সেখানে আলোচনা করতেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রথম’ নীতিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈশ্বিক অর্থনীতিতে দেশকে যে সংকটের মধ্যে ফেলে রেখে গেছেন- তা থেকে উত্তরণ এবং বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে নতুনভাবে যুক্তর করার একটি বড় সুযোগ নিয়ে বাইডেনের সামনে উপস্থিত হয়েছে সাম্প্রতিক জি ৭ বৈঠক।
ইতালির নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির জন্যও জি ৭ এর প্রথম বৈঠক এটি। ‘প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া’ নীতির জন্য বিখ্যাত মারিও দ্রাঘি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী পদে থাকার সময় একবার ব্যাংক ঋণসংকটে পড়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলো। সেই সংকট থেকে ইউরোপকে বের করার ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
জি ৭ বৈঠকের অন্যরকম তাৎপর্য রয়েছে ব্রিটেনের জন্যও। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউয়ের) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিটের পর দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের দিকে মনযোগ দেওয়া যুক্তরাজ্যের জন্যও এই বৈঠক নতুন কিছু সুযোগের দ্বার উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন দেশটির রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইটালি ও কানাডা— জি ৭ এর এই সদস্যরাষ্ট্রগুলোর গড় বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ৪০ ট্রিলিয়ন ডলার- যা বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় অর্ধেক।
সূত্র: রয়টার্স
এসএমডব্লিউ