ছবি: এনডিটিভি

সংঘাত-সহিংসতা ও গৃহযুদ্ধে জর্জরিত তিন দেশ আফগানিস্তান, ডেমোক্রেটিরক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআর কঙ্গো) ও ইয়েমেনে বাস্তুচ্যুত শিশুর সংখ্যা এখন ৩ কোটি ৬৫ লাখ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যত সংখ্যক শিশু উদ্বাস্তু হয়েছিল, এই সংখ্যা তার চেয়েও বেশি।

শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছেজাতিসংঘের শিশু অধিকারভিত্তিক সংস্থা ইউনাইটেড নেশন্স ন্যাশনাল চিলড্রেন ফান্ড (ইউনিসেফ)।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের আগ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত শিশুর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৪৩ লাখ; কিন্তু গত বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই সংখ্যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও ২২ লাখ শিশু।

তবে ইউনিসেফের এই প্রতিবেদনে কেবল গৃহযুদ্ধ, সংঘাত ও সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত শিশুদের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাস্তুচ্যুত হওয়া শিশুদের সংখ্যা বা তথ্য এতে নেই।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্বাস্তু ৩ কোটি ৬৫ লাখ শিশুদের প্রায় ৫০ শতাংশই প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের বয়সী। বাকিদের মধ্যে ২৫ শতাংশ মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষার্থীদের বয়সী ও ২৫ শতাংশ এখনও স্কুলে যাওয়ার মতো বয়সে পৌঁছায়নি।

উদ্বাস্তু ও শরণার্থী হওয়ার পাশাপাশি মানবপাচারের শিকারও হয়েছে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু। ৩ কোটি ৬৫ লাখ বাস্তুচ্যুত শিশুর মধ্যে ২৮ শতাংশই মানবপাচারের শিকার।

শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইউনিসেফের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সংঘাত-গৃহযুদ্ধ কবলিত দেশগুলোতে শান্তি ফিরে আসার সম্ভাবনা এখনও ক্ষীণ। এ কারণে প্রতিদিনই বিশ্বে বাড়ছে উদ্বাস্তু ও শরণার্থী শিশুদের সংখ্যা।’

‘যদি জলবায়ু পরিবর্তন ও সাম্প্রতিক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া শিশুদের সংখ্যা এই তালিকায় যুক্ত হয়, তাহলে তা আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠবে।’

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা আশা করছি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার শিশুদের বাস্তুচ্যুত ও পাচার হওয়া রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এবং যেসব শিশু ইতোমধ্যে উদ্বাস্তু হয়েছে, তাদের সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করবে।’

এসএমডব্লিউ