ছবি: বিবিসি

ভৌগলিক কারণেই মধ্য-দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ। তবে বুধবার ভোরে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাকতিকা ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ খোস্টে যে ভূমিকম্প হয়েছে, সেটি গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবারের ভূমিকম্পে এই দুই প্রদেশে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ১ হাজারে এবং এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রবল।

তবে আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সেই রেকর্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত তিন দশকে কেবল ভূমিকম্পের কারণে আফগানিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের।

পৃথক এক প্রতিবেদনে আফগানিস্তানে ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ব্যাপক প্রাণঘাতী কিছু ভূমিকম্পের তথ্য দিয়েছে রয়টার্স। সে প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ১৯৯১ সালে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চলে হওয়া এক ভূমিকম্পে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও সোভিয়েত ইউনিয়নে ৮৪৮ জন মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

তার পর ১৯৯৭ সালে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী ইরানের প্রদেশ খোরাসানের কায়েন শহরে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে দুই দেশে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছিল ১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি এবং ১০ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

পরের বছর ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানের প্রায় বিচ্ছিন্ন ও তাজিকিস্তানের সীমান্তবর্তী উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ তাখারে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তানে নিহত হন প্রায় ৪ হাজার মানুষ, তার মধ্যে আফগানিস্তানে নিহতের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩০০।

ওই ভূমিকম্পের মাত্র তিন মাস পর, মে মাসে ফের তাখার প্রদেশে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয় এবং তাতে নিহত হন ৪ হাজার ৭০০ জন।

২০০২ সালের মার্চে হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চলের আফগানিস্তান অংশে জোড়া ভূমিকম্প হয়েছিল এবং তাতে নিহত হয়েছিলেন মোট ১ হাজার ১০০ জন মানুষ।

তার তিন বছর পর, ২০১৫ সালে ফের হিন্দুকুশ এলাকাতেই ৭ দশমিক ৫ মাত্রার এক ভূমিকম্পে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতে নিহত হন ৩৯৯ জন।

এসএমডব্লিউ